ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

জড়িত নামগুলো জানতে চান ফেদেরার

প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

‘গেম, সেট অ্যান্ড ম্যাচ’ হঠাৎ-ই পাল্টে গিয়ে টেনিসের অলিতে-গলিতে এখন ‘গেম, সেট অ্যান্ড ম্যাচ ফিক্সিং!’যার ধাক্কায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের উদ্বোধনী দিন মেলবোর্ন পার্ক জুড়ে অস্বস্তি। জল্পনা। সন্দেহ। অবিশ্বাস! বিবিসি ও বাজফিড ওয়েবসাইটের চাঞ্চল্যকর দাবি বিশ্ব টেনিসের ভিতই যেন নড়িয়ে দিয়েছে।

দাবি করা হয়েছে, গত দশ বছরে বিশ্বের প্রথম পঞ্চাশ টেনিস তারকার অন্তত ১৬ জন, যাদের ভেতর একাধিক গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়নও আছেন, তারা জুয়াড়িদের স্বার্থে ম্যাচ ফিক্সিং করেছেন। উইম্বলডনে পর্যন্ত নাকি তিনটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রমাণ রয়েছে বিবিসি এবং বাজফিডের কাছে। এমনকী সন্দেভাজনদের তালিকায় সাবেক উইম্বলডন সিঙ্গলস ও ডাবলস চ্যাম্পিয়নও আছেন।

সবচেয়ে শিহরিত করে দেওয়ার মতো দাবি,  পেশাদার ট্যুরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত এরকম আটজন খেলোয়াড় চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলছেন! মঙ্গলবারই বিবিসি রেডিও ৪-এ স্থানীয় সময় রাত আটটায় এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রচারিত হওয়ার কথা; কিন্তু খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই টেনিসমহল জুড়ে জল্পনা, ওই প্রোগ্রামে কোনও বড় নাম ফাঁস হয় কি না!

অবশ্য তার আগেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে যতটুকু খবর এদিন বেরিয়েছে তা নিয়েই। অস্ট্রেলীয় পুলিশ ইতিমধ্যেই সে দেশের কিছু মাঝারি মাপের টেনিস খেলোয়াড় এবং কোচেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ভিক্টোরিয়া পুলিশ থেকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে তারা স্থানীয় কিছু টেনিস ব্যক্তিত্বকে ধরে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে, এ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোন কোন প্রথম রাউন্ড ম্যাচে গড়াপেটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বিবিসি ও বাজফিডের দাবিতে আবার যেন ঘি ঢেলে দিয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম রাউন্ড জেতার পর তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমাকে ২০০৭-এ সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম রাউন্ড ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য দু’লাখ ডলার অফার করা হয়েছিল। তবে জুয়াড়িরা সরাসরি আমাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়নি। দিয়েছিল ওই সময় আমার সার্পোট স্টাফ যারা ছিল, তাদের কাছে।’

এরপরই চাঞ্চল্যকর বিষয়ের তীক্ষ্মতা উধাও করে টেনিসের জোকার বলেন, ‘তবে গত ছয়-সাত বছরে এরকম কিছু আমার কানে আসেনি। আজ যে খবরটা নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে সেটা বরং আমার মনে হচ্ছে, জল্পনা।’ জকোভিচের সঙ্গেই যেন গলা মিলিয়ে পুরুষদের পেশাদার টেনিস সার্কিট যারা বছরভর চালায় সেই এটিপি-র প্রেসিডেন্ট ক্রিস কার্মোড বলেছেন, ‘টেনিসে ভুরিভুরি ম্যাচ গড়াপেটার এই দাবি কোনও প্রমাণের আসনে বসে নেই।’

রজার ফেদেরার আবার এই অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। পরিষ্কার বলেছেন, ‘নামগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম। কারা ওই খেলোয়াড়? সিঙ্গলস না ডাবলস? কোন স্ল্যাম? নাম জানা গেলে অভিযোগটা একটা চেহারা নেয়।’

বিবিসি ও বাজফিডের দাবি আবার ঠিক উল্টো। তাদের কথায়, ১৬জন সন্দেহভাজন খেলোয়াড়ের একটা কোর গ্রুপের বিরুদ্ধে বারবার রিপোর্ট হয়েছে যে, তাদের কিছু কিছু ম্যাচ চূড়ান্ত সন্দেহজনক। যখনই এই সন্দেহভাজন টেনিস তারকাদের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের বেটিং হয়েছে তারা হারবেন, তখন তারা রীতিমতো দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছেও সত্যিই সেই নির্দিষ্ট ম্যাচ হেরেছেন। উদাহরণ হিসেবে ২০০৭-এ তৎকালীন বিশ্বের চার নম্বর ডেভিডেঙ্কোর ৮৭ নম্বর মার্টিন আগুয়েলোর কাছে সন্দেহজনক হার এবং তা নিয়ে ফলাফলহীন তদন্তের কথা বলা হয় এ দিন। এ রকম ন’টা তালিকায় এটিপির সত্তরের বেশি প্লেয়ারের নাম রয়েছে বিবিসি ও বাজফিডের হাতে।

বিশ্ব টেনিস চূড়ান্ত আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে, মঙ্গলবার (আজ) ‘গেম, সেট অ্যান্ড ম্যাচ-ফিক্সিং’ কোন কোন নামের আগে বসে!

আইএইচএস/আরআইপি