ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সিরিজ জিতে সেরা দশে আফগানিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে দলটি। ফলে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচটি ফাইনালে রূপ নেয়। সিরিজ জয়ের ট্রফি কে তুলবে! আফগানিস্তান না কি জিম্বাবুয়ে। তবে সব জল্পনা কল্পনা দূর করে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ঘরে তোলে নিলো আফগানিস্তান।

গুলবদন নাইবের অসাধারণ এক অপরাজিত ইনিংসে পঞ্চম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আফগানরা নিশ্চিত করল ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে থাকা।

এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে প্রথমবারের মত দশে উঠে এসেছিল আফগানিস্তান। তৃতীয় ও চতুর্থ ওয়ানডের হারে আবার নেমে গিয়েছিল ১২ নম্বরে। কিন্তু শেষ ম্যাচের জয়ে নিশ্চিত হলো আবার দশে ওঠা।

শারজাতে সিরিজের শেষ ম্যাচে বুধবার গুলবদন প্রায় একাই জিম্বাবুয়ের জয় ছিনিয়ে এনে উৎসবে মাতান আফগানদের। ২৪৯ রান তাড়ায় পথ হারিয়েছিল আফগান ইনিংস। অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই যখন আউট হলেন, তখনও চাই ৯৩ বলে ১০৪ রান, হাতে মাত্র ৪ উইকেট। সাতে নামা গুলবদন সেখান থেকেই জিতিয়ে দিলেন আফগানিস্তানকে।

সপ্তম উইকেটে গুলবদনকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তরুণ রশিদ খান। দু’জন মিলে গড়েছেন ৭৩ বলে ৮৫ রানের জুটি। ৪৮তম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরান নেভিল মাডজিভা।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। মাডজিভার করা প্রথম বলে গুলবদন নেন দুই রান, দ্বিতীয় বলে চার ও চতুর্থ বলে দারুণ ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন ২ বল আগেই। ৬ ছক্কায় ৬৩ বলে অপরাজিত ৮৩ গুলবদন।

রান তাড়ায় আফগানিস্তানের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা রান পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। ফর্মে থাকা ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবার ফেরেন ২৫ রানে, ৩১ করেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ১৪৬ রানে আফগানরা হারিয়েছিল ষষ্ঠ উইকেট।

সেখান থেকেই গুলবদনের বীরত্বে অসাধারণ জয়। আফগানিস্তানের যেটি টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়। গত অক্টোবরে জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতেই ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছিল আফগানিস্তান। সেবার ওয়ানডে সিরিজের পর ওই গুলবদনের ঝড়ো অর্ধশতকে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছিল আফগানরা।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দারুণ এক শতকে জিম্বাবুয়েকে এনে দিয়েছিলেন লড়াই করার মতো রান। ১১১ বলে ১১০ করেন তিনি। এটি তার ওয়ানডেতে চতুর্থ শতক। এছাড়া ওপেনার পিটার মুর করেন ৪২, রিচমন্ড মুতুম্বামি করেছেন ৪০।  আমির হামজা নেন ৩ উইকেট, দুটি করে মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান।

জেডএইচ/পিআর