পাপনের দ্বারস্থ মাশরাফি-মুশফিকরা
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতির বিরোধীতা করে, এটি বাতিলে বিসিবি সভাপতির দ্বারস্থ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করতে ২৫ জনের একটি দল যায় বেক্সিমকো কার্যালয়ে। সেই দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফি-তামিম-রিয়াদ-মুশফিকরা।
ক্রিকেটারদের দাবি একাটাই, প্লেয়ার বাই চয়েজে দল-বদল করবেন না তারা। কেননা এতে করে তাদের অবমূল্যায়নের সুযোগ থাকে। তাদের দাবির পক্ষে যুক্তিও আছে বেশ। কেননা ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ, বিশেষ করে জাতীয় দল ও এর আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটারের আয়ের মূল উৎস এই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। ক্রিকেটারদের পায়ে এভাবে শেকল বেধে দেওয়াটা পেশাদার ক্রিকেটের জন্য বড় এক ধাক্কা।
এসব কারণেই বিসিবি সভাপতির কাছে ছুটে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। বিসিবি সভাপতিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এই পদ্ধতি হলে ক্রিকেটাররা কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কিন্তু তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। তেমন আশ্বাসও মেলেনি। উল্টো বিসিবি সভাপতিই প্লেয়ার বাই চয়েজের ভালো দিক ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
প্লেয়ার বাই চয়েজ ক্রিকেটের স্বার্থের জন্য ভালো। এমন দাবি খোদ নাজমুল হাসান পাপনের। তিনি বলছেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থে এই পদ্ধতি বেশ কার্যক্রর। এখানে ক্রিকেটাররা আগের চেয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে বেশি পারিশ্রমিক পায়।’ তবে ছেলে ভোলানো আশ্বাসও মিলেছে, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে ক্লাব ও সিসিডিএমের সঙ্গে কথা বলবো। যেটা সবচেয়ে ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই নিবো।’
এদিকে দলের সিনিয়র এক ক্রিকেটার জানালেন, ‘আমাদের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির যে কথা হয়েছে। সেখানে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন প্লেয়ার বাই চয়েজ কেন প্রয়োজন। তিনি বলেছেন ক্রিকেটের স্বার্থে ক্লাব ও আমাদের জন্য যা ভালো হয় তাই করবেন।’
নিজেদের দাবি পূরণ না হলে শেষশেষ এই পদ্ধতিই মেনে নেয়ার কথা বলছেন আরেক ক্রিকেটার, ‘যদি খেলোয়াড়রা এই পদ্ধতিতে দল-বদলে করতে রাজি না হয়। তাহলে লিগ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে ২০১১-১২ সালের মতো এবার এই লিগ হবে না। ক্রিকেটের স্বার্থে তাই খেলোয়াড়দের এটা মেনে নেওয়া উচিত।’
এমআর/পিআর