ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

তামিমের কাছে বছরের সেরা সময়

প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছিল দারুন এক স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্নের কান্ডারিদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ায় হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের কারণে তার পারফরম্যান্স নিয়ে একটু শঙ্কা ছিল বৈ কি। বিশ্বকাপে এসে সেই শঙ্কাই যেন বাস্তবায়িত হলো। ব্যাট হাতে যারপরনাই ব্যার্থ বাংলাদেশের সেরা ওপেনার।

বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন মাত্র ১৯ রান। পরের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ডাক। তামিমকে দল থেকে বাদ দেয়ার জোর দাবি উঠে গিয়েছিল সমর্থকদের ভেতর থেকে। যদিও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মান বাঁচিয়েছেন তিনি ৯৫ রানের ইনিংস খেলে। তখনও পর্যন্ত তামিমের এই ইনিংসটাই ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ব্যাক্তিগত স্কোর।

স্কটল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও চুপসে গেলেন তামিম। আউট হলেন মাত্র ২ রান করে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করলেন ১৩ রান। আর কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আউট হলেন ২৫ রান করে (এ ফাঁকে অবশ্য বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এরপর করলেন আরও একটি)। তামিমের এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চারদিক থেকে সমানে দাবি ওঠে তাকে বাদ দেয়ার।

এ সময় তামিমের সামনে একটিমাত্র পথ খোলা। আর সেটা হলো ফর্মে ফিরে, ভালো ইনিংস খেলে সমালোচনার জবাব দেয়া। সেই কাজটাই তিনি করলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই করলেন ১৩২ রান। পরের ম্যাচে অপরাজিত ১১৬। তৃতীয় ম্যাচেও করলেন ৬৪ রান। চরম চাপের মুখ থেকে যেভাবে ফর্মে ফিরেছেন, এটাই নিজের জন্য নিজের কাছে বছরের সেরা মুহূর্ত বলে জানালেন তামিম ইকবাল।

প্রাণ-ফ্রুটো বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ক্রিকেটের ড্র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ২০১৫ সালে নিজের জন্য কোনদিকটা সেরা হিসেবে বেছে নেবেন? জবাবে তামিম বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিশ্বকাপে ভালো করতে পারিনি। ওই অবস্থান থেকে যেভাবে ফিরে এসেছি, সেটাই ছিল আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি যে, ওই ধরনের সময় (খারাপ) আমার জীবনে আবার আসবে। তখন আমার জন্য কাজটা খুব সহজ হয়ে যাবে, কারণ, এর আগে আর কখনও এত চাপ নিয়ে, এত সমস্যা নিয়ে কোন সিরিজ কিংবা ম্যাচ খেলি নাই।  পরবর্তীতে যখনই আবার খারাপ সময় উপস্থিত হবে, তখন আইম এই অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাবো। তখন হয়তো আরও রিল্যাক্স থাকতে পারবো আমি।’
 
আইএইচএস/পিআর