মেলবোর্নে দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে উইন্ডিজ
ক্যারিবীয়দের দুঃস্বপ্ন হোবার্টেও দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে জ্যাসন হোল্ডারের দলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল। সে প্রত্যয়ের দরুণই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না হোক, ক্রিকেটপ্রেমীরা অন্তত লড়াই তো প্রত্যাশা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে।
কিন্তু এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তা সম্ভবত ভাবতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াও। কী ব্যাটে আর কী বলে, দু’ডিপার্টমেন্টেই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখালো স্বাগতিকরা। মেলবোর্ন টেস্টটি যে তৃতীয় দিনেই নিষ্পত্তি দেখতে যাচ্ছে তা এক প্রকার নিশ্চিত।
কারণ, ৫৫১ রানের বিশাল স্কোরের নীচে চাপা পড়ার পর মাত্র ৯১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ৪৬০ রান পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে আছে আর মাত্র ৪টি উইকেট।
বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথমদিনই তারা তুলে নিয়েছিল ৩৪৫ রান। জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন ওপেনার জো বার্নস আর টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান উসমান খাজা।
৩ উইকেটে ৩৪৫ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিন খেলতে নামেন স্টিভেন স্মিথ আর অ্যাডাম ভোজেস। ৩২ রানে ক্রিজে ছিলেন স্মিথ আর ১০ রানে ছিলেন ভোজেস। দ্বিতীয় দিন এই দু’জনকে আউটই করতে পারলো না ক্যারিবীয় বোলাররা। দু’জনই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। ৫০.৫ ওভার খেলে দু’জন গড়েন ২২৩ রানের অপারিজ জুটি।
ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ভোজেস অপরাজিত ছিলেন ১০৬ রানে। আর ক্যারিয়ারে ১৩তম সেঞ্চুরির পর ১৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৫১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন অসি অধিনায়ক স্মিথ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেট এবং রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। তখনও মনে হয়নি কতটা বিপর্যয়ে পড়তে পারে ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৩৫ রানে প্রথমে আউট হন ব্রাফেট। ১৭ রান করে আউট হন তিনি। এরর রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা করেন ২৫ রান। এরপর জার্মেইন ব্ল্যাকউড করেন সর্বোচ্চ ২৮ রান। মারলন স্যামুয়েলস, দিনেশ রামদিন, এবং জ্যাসন হোল্ডার আউট হন কোন রান না করেই।
অসি পেসার জেমস প্যাটিনসন, নাথান লায়ন এবং পিটার সিডল নেন ২টি করে উইকেট।
আইএইচএস/আরআইপি