ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ফাইনালে বরিশাল বুলস

প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫

সাব্বির রহমান এবং শাহরিয়ার নাফিসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে বরিশাল বুলস। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে ৫ উইকেটের দারুণ জয় তুল নিয়েছে দলটি। ফলে আগামী মঙ্গলবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে নামবে মাহমুদউল্লাহবাহিনী।

রংপুর রাইডার্সের দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দারুণ চাপে পড়ে বরিশাল বুলস। মাত্র ১০ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি। রংপুরের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন আরাফাত সানি। রনি তালুকদারকে পেরেরার ক্যাচে পরিণত করেন এই বাঁ হাতি। এর পরের ওভারেই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সেকুগে প্রসন্নকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান।

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অভিজ্ঞ শাহরিয়ার নাফিসকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন সাব্বির আহমেদ। এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল শতরানের জুটিতে ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৪ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দলের জন্য কার্যকরী ৪৪ রান যোগ করে রান আউট হন নাফিস। ৪০ বল মোকাবেলা করে ৬টি চারের সাহায্যে এই রান করেন এই বর্ষীয়ান ব্যাটসম্যান।

নাফিসের বিদায়ের পর দলীয় ৭ রান যোগ করতেই ফিরে যান সাব্বির হোসেন। তবে আউটের জন্য নিজের ভাগ্য দায়ী করতেই পারেন এই ব্যাটসম্যান। লং অনের সীমানায় লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন ড্যারেন স্যামি। তবে আউট হবার আগে দলের জন্য মূল্যবান ৭৯ রান সংগ্রহ করেন সাব্বির। ৪৯ বলে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কায় এই রান সংগ্রহ করেন এই ব্যাটসম্যান।

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও যখন ফিরে যান তখনও ৮ বলে ১৪ রানের প্রয়োজন ছিল বরিশালের। কিন্তু পরের বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন রায়াদ এমরিত। শেষ ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান কুপার। দ্বিতীয় বলে দুই রান তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে তিন বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন কুপার।

রংপুরের পক্ষে সাকিব, সানি, পেরেরা এবং স্যামি ১টি করে উইকেট পান।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে রংপুর রাইডার্স। একাদশে সুযোগ পেয়ে সিমন্সের সঙ্গে উদ্বোধন করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন রাসেল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান করে দলের বড় ইনিংসের ভিত করে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

নবম ওভারে প্রসন্নর বলে ফ্লাইট মিস করে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রাসেল। ২৩ বল মোকাবেলা করে ১টি চার এবং ১টি ছক্কায় ২০ রান করেন এই বাংলাদেশি তরুণ। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি সৌম্য সরকার (৬)। লং অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পরে দারুণ সৌম্যকে তালুবন্দি করেন সামি।

সৌম্যর বিদায়ের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সিমন্স। এই দুই ব্যাটসম্যান দলকে ৪৪ রানের জুটি উপহার দেন। দলীয় ১১৪ রানে সাকিবকে (১৩) বোল্ড করেন টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা আল-আমিন হোসেন।

এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন সিমন্স। মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হবার আগে ৫৭ বল মোকাবেলা করে ৯টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন এই ক্যারিবিয়ান। সিমন্সের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান লঙ্কান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা (৫)।

এর পর দ্রুত আরও চার উইকেট হারালেও শেষ দিকে ড্যারেন স্যামির ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। মাত্র ১০ বলে ৩টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন স্যামি।

বরিশাল বুলসের পক্ষে ৩৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার কেভন কুপার। এছাড়া সামি, আল-আমিন এবং প্রসন্ন ১টি করে উইকেট নেন।

আরটি/বিএ

আরও পড়ুন