উইকেট দেখেই বোলিংয়ে মাশরাফি
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে অপরিহার্য ক্রিকেটার হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, নির্দিষ্ট ছন্দে বোলিংটাও দারুণ কার্যকরী তার। অথচ বিপিএলে এসে চট্টগ্রামে সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়লেন তিনি। এরপর আর বোলিং করার কথা ছিল না তার। তারপরেও মাঝে মধ্যেই বল হাতে তুলে নিচ্ছেন তিনি। আর মাশরাফিঅ বল হাতে নিলেই বাংলাদেশের হাজারো ভক্তদের হৃদয়ে কাঁপন ওঠে, আবার ইনজুরিতে পড়ে গেলেন না তো নড়াইল এক্সপ্রেস?
শনিবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও বল হাতে নিয়েছেন মাশরাফি। ছোট ছোট রানআপে দারুণ বোলিংও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, টানা চার ওভার বোলিং করেছিলেন মাশরাফি। ইনজুরি সত্ত্বেও হঠাৎ এভাবে টানা বোলিং করার কী কারণ? ম্যাচে শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি নিজেই জানালেন এর রহস্য।
উইকেট দেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। উইকেট এমন ছিল যে, ওখানর থেকে পেস বোলাররা বেশ সুবিধা পাবেন ভেবেই বল করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। তবে এটাও স্বীকার করেছেন, বোলিং করার মত এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি।
‘আজও কিছুটা ব্যথা হচ্ছিলো। এ কারণে শর্ট রানআপে বোলিং করতে পেরেছি। ওই সময় আসলে অফস্পিনার বা অন্য কোনো বোলার আনার সুযোগ ছিলো না।’ তবে শর্ট রানআপে বোলিং করাটা পছন্দ করেন না মাশরাফি। তার কাছে এটিও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে দলের প্রয়োজনে বল হাতে নিতে বাধ্য হচ্ছেন এই পেসার। ‘শর্ট রানআপে বোলিং করাটা কঠিন। শরীরের অন্য জায়গায় চাপ পড়ে। সারা জীবন যেটা করেছি, লং রানআপে বোলিং করলে আমার ছন্দটা ঠিক থাকে।’
শুধু বলই নয়, এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে এত আগে নামার কারণ জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমি প্রস্তুতও ছিলাম না। কোচ বললেন নামতে। পরে আমিও ভাবলাম, ঠিক আছে, নামি। কোচই চাচ্ছিলো এটা। নিজে চিন্তা করি নাই। ওভার শেষ হয়ে গেলে অন্য ব্যাটসম্যানদের আগে নামবো; কিন্তু কোচই আমাকে পছন্দ করেছে তিনে নামার জন্য।’
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি