টোকিওয় বোল্টের আসন দখল করবেন কে?
২০১৬ রিও অলিম্পিকের পরই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডকে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন বজ্রমানব উসাইন বোল্ট। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিক থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন জ্যামাইকান গতিদানব। তবে নিজেকে চিনিয়েছেন তিনি ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে। এরপর একের পর এক ইতিহাসই সৃষ্টি করে গেছেন বোল্ট। অলিম্পিকে জিতেছেন ৮টি স্বর্ণ পদক (যদিও জিতেছিলেন ৯টি, কিন্তু এক সতীর্থের ডোপ কেলেঙ্কারির কারণে রিলের স্বর্ণ বাতিল হয়ে যায়)।
এবার আর বোল্ট নেই। অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তাহলে গতির ঝড় তুলবেন কে? কে হবেন এবারের সবচেয়ে গতিমানব? সে প্রশ্ন এরই মধ্যে উঠে গেছে। বোল্টের ছেড়ে যাওয়া আসন কে দখলে নেবেন, সে দিকেই তাকিয়ে সবাই।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে অলিম্পিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ডিসিপ্লিন অ্যাথলেটিক্সের লড়াই। গত তিনটি অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অবিসংবাধিত ফেবারিট ছিলেন বোল্ট এবং তিনিই জিতে নিয়েছিলেন এই ইভেন্টের স্বর্ণ পদক। তার সামনে লড়াই করার মত তারকাও এসেছিলেন ট্র্যাকে। কিন্তু কেউ তাকে পেছনে ফেলতে পারেননি।
এবার অলিম্পিক ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে গতির ঝড় তোলার জন্য প্রস্তুত বেশ কয়েকজন স্প্রিন্টার। এর মধ্যে তিনজনের নাম নেয়া যায়। ট্রেভর ব্রোমেল, রনি বেকার এবং আকানি সিমবাইন।
দক্ষিণ আফ্রিকান স্প্রিন্টার আকানি সিম্বাইন সম্প্রতি ১০০ মিটারে নিজের সেরা স্কোর করেছেন। ৯.৮৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছিলেন তিনি। যদিও চলতি বছরে এটাই সেরা টাইমিং নয়। মার্কিন স্প্রিন্টার ট্রেভর ব্রোমেল করেছেন আরও কম টাইমিং। গত জুনে ফ্লোরিডায় তিনি ১০০ মিটার দৌড় শেষ করে ৯.৭৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
আরেক মার্কিন স্প্রিন্টার রনি বেকার রয়েছেন উপরোক্ত দুইজনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। গত মার্চ মাসে তিনি ৯.৯৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে টেক্সাস রিলেতে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন। যা তাকে এবারের অলিম্পিকে অন্যতম সেরা অ্যাথলেটের তকমা এনে দিয়েছে।
অলিম্পিকে বোল্টের গড়া ৯.৫৮ সেকেন্ডের রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ন। পারবে কী অন্য কোনো অ্যাথলেট সেই রেকর্ড ভাঙতে? আপাতত টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডেই সবার চোখ।
আইএইচএস/এএসএম