ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ইলিমিনেটরে ঢাকা-বরিশালের শ্বাসরূদ্ধকর লড়াই

প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

বৃহস্পতিবার সন্ধার হারের ক্ষতটা এখনও দগদগে। ৯৪ রানে বরিশালের আট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে যখন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল তখন অখ্যাত রায়াদ এমরিত এবং নিখিল দত্তের দুর্দান্ত জুটিতে হেরে গেল ঢাকা ডাইনামাইটস। ভাগ্যের ফেরে শনিবার সন্ধ্যায় এলিমিনেটর রাউন্ডে আবারও মুখোমুখি হবে এই দুই দল। প্রতিশোধের ম্যাচে এবার দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ঢাকা। আর বরিশালও চাইছে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।

দুই দলের প্রথম সাক্ষাতেও জয়ী হয়েছিল বরিশাল বুলস। সেদিন আরেক অখ্যাত এভিন লুইসের দানবীয় ব্যাটিংয়ে পাত্তাই পায়নি ঢাকা। অপরাজিত ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ঢাকার করা ১৫৮ রানকে মামুলী বানিয়ে দিয়েছিলেন এই ক্যারিবিয়ান। আর ফিরতি ম্যাচে এমরিত শো। ক্যারিবিয়ানরা রীতিমত দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকার সামনে। তার উপর আগের দিন বিশ্রামে ছিলেন আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডব ক্রিস গেইল। এই দৈত্য ব্যাট হাতে কি করতে পারেন, তা ভালো করেই জানা সাঙ্গাকারাবাহিনীর।

তবে ছেড়ে কথা বলবে না ঢাকাও। আগের দুই ম্যাচেই শুরুতে দারুণভাবে লড়াইয়ে ছিলেন তারা; কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে শেষটা ভালো হচ্ছে না তাদের। এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে আগের দিন তরুণ মোসাদ্দেক বলেছিলেন, ‘শত চেষ্টা করেও সামান্য ভুলে আর ভাগ্যের দোষে হেরে যাচ্ছি। তবে সেমিফাইনালে (এলিমিনেটর রাউন্ড) আমরা সেরা একাদশ নিয়ে খেলবো। এবং জয়ী হয়ে পরের ম্যাচ খেলবো।’ শেষ ম্যাচে ঢাকার হয়ে মাঠে ছিলেন না হালের সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। ইলিমিনিটরে তার উপস্থিতি দলকে নিঃসন্দেহে আরও উজ্জবিত করবে।

দলে তেমন কোন ইনজুরি সমস্যা না থাকলেও উদ্বোধনী জুটি নিয়ে দারুণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ঢাকা। গ্রুপ পর্বের ১০ ম্যাচে এখন পর্যন্ত আট জন ব্যাটসম্যানকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছে তারা। তারপরও খুঁজে পায়নি কাঙ্ক্ষিত কোন জুটি। আগের দিন আক্ষেপ করেই নাসির বলেছিলেন, ‘দেখা যাবে আগামী ম্যাচে আমিই ওপেনিংয়ে নেমে গেছি।’

উদ্বোধনী জুটি ছাড়াও দলের দুশ্চিন্তার কারণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। অধিনায়ক সাঙ্গাকারা ছাড়া কেউ দলের হাল ধরতে পারছেন না। তবে দারুণ ফর্মে রয়েছেন অধিনায়ক নিজে। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে সর্বাধিক ৩৩৯ রান করেছেন তিনি। অন্যান্য বিদেশি তারকারাও কেউ জ্বলে উঠতে পারছেন না। দলের শক্তি বাড়াতে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজকে অন্তর্ভুক্ত করলেও দারুণভাবে হতাশ করেছেন তিনি।

ব্যাটিং ভালো না হলেও বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই ঢাকা শিবিরের। মুস্তাফিজের সঙ্গে আবুল হাসান রাজু ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন। ঢাকার মাঠে নিয়মিত পারফরমার মোশাররফ হোসেন রুবেলও আছেন ছন্দে। সঙ্গে পাকিস্তানি লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ দারুণ খেলছেন।

অপরদিকে বরিশাল বুলস টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে রয়েছে। ১০ ম্যাচে কুমিল্লা, রংপুরের সমান ৭টি জয় তুলে নিয়েছে তারা। রান রেটে কোয়ালিফায়ার খেলার যোগ্যতা পায়নি দলটি। খেলতে হচ্ছে ইলিমিনেটর উদ্বোধনী জুটিতে রয়েছেন সবচেয়ে ভয়ংকর সুন্দর ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তার সঙ্গি এভিন লুইসও কম যান না। এবারের আসরে একমাত্র সেঞ্চুরিটি তারা করা।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। টুর্নামেন্টের শুরুতে দলের ব্যাটসম্যানরা ভালো না খেলতে পারলেও শেষ দিকে লুইস, গেইলের উপস্থিতিতে রঙ বদলেছে। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং বিভাগে দারুণ সফল তারা। এবারের আসরে দুটি ম্যাচে দুটি পাঁচ উইকেট শিকার করা খেলোয়াড় তাদের দলের। একমাত্র হ্যাটট্রিকটাও তাদের। সামি, আল-আমিন এর সঙ্গে কেভিন কুপারের পেস বোলিং যে কোন দলকে ধসিয়ে দিতে পারে। স্পিনে তাইজুলও ছন্দে রয়েছেন। তাই সব মিলিয়ে দারুণ একটি ম্যাচের প্রত্যাশা করেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

আরটি/আইএইচএস/এমএস