ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ছক্কা মেরে ঢাকাকে হারিয়ে দিলেন আফ্রিদি

প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১০ রান। স্নায়ুর চূড়ান্ত চাপ দেখা যাচ্ছিল তখন ড্রেসিংরুম আর গ্যালারিতে। ড্রেসিংরুমের সামনে অস্থিরভাবে পায়চারি করছিলেন ঢাকার কোচ..। ভেতরে দেখা যাচ্ছিল আতহার আলি খানকে। আর গ্যালারিতে স্নায়ুর চাপে ভুগতে দেখা গেছে সিলেট সুপার স্টারসের মালিক আজিজুল ইসলামকে।

শেষ ওভার করার জন্য ঢাকার অধিনায়ক সাঙ্গাকারা বল তুলে দিলেন ফরহাত রেহার হাতে। টান টান উত্তেজনা। অপরপ্রান্তে আফ্রিদি। এমন কম শত ম্যাচ যে তিনি জিতিয়েছেন, তার জুড়ি মেলা ভার! কিন্তু প্রথম বলেই ফরহাদ রেজা মাত্র ১ রান দিলেন আফ্রিদিকে।

উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে গেলো পরের বলেই। সোহেল তানভিরকে বোল্ড করে দিলেন ফরহাদ। মাঠে নামলেন মুশফিকুর রহিম। স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিলেন তিনি। স্ট্রাইকে আবারও আসলেন আফ্রিদি। এবার লেগ স্ট্যাম্পের ওপর ফুলটস দিলেন ফরহাদ। আফ্রিদির জন্য একেবারেই লোভনীয় একটি বল। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মোটেও ভূল করেননি তিনি। ছক্কা।

বল আর রানের ব্যবধান হয়ে গেলো তখন সমান। ২ বলে প্রয়োজন ২ রান। এ সময় প্রয়োজন ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারির। কিন্তু ফরহাদ রেজা পরের বলটাও দিলেন প্রায় একই রকমের। এবারও ভূল হওয়ার কথা নয়। হলোও না। আবারও ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন আফ্রিদি।

১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সংগ্রহ দাঁড়াল ১৬২। ৭ উইকেটে ঢাকা ডাইনামাইটসকে হারিয়ে দিল সিলেট সুপার স্টারস। একই সঙ্গে শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনাও টিকিয়ে রাখলো সিলেট। শেষ ম্যাচে তারা যদি কুমিল্লাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারে এবং ঢাকা যদি বরিশাল বুলসের কাছে হেরে যায়, তাহলে দু’দলেরই (ঢাকা-সিলেট) পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান ৮ করে। তখন রান রেটের হিসেব আসবে। আপতত রান রেটের হিসেবে এগিয়ে ঢাকাই। তবুও বড় ব্যবধানে যদি সিলেট জিততে পারে, তাহলে রান রেট এগুতেও পারে। তখন সিলেটই হয়তো উঠে যাবে শেষ চারে। আপাতত ৯ ম্যাচ শেষে ঢাকার পয়েন্ট এখন ৮ এবং সিলেটের পয়েন্ট ৬।

১৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে সিলেট শুরু থেকেই ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার জশুয়া কব এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী মিলে ভালোই সূচনা করেন। ৩৬ রানের জুটি গড়ার পর অবশ্য জশুয়া কব রান আউট হয়ে ফিরে যান, ১৭ বলে ১৫ রান করে।

এরপরই জুনায়েদের সঙ্গে এসে জুটি বাধেন রবি বোপারা। দু’জন গড়েন ৮৪ রানের অনবদ্য এক জুটি। এর মধ্যে বোপারা এবং জুনায়েদ- দু’জনই ছুঁয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পর অবশ্য জুনায়েদ সিদ্দিকী ৫১ রান করে আউট হয়ে যান, ইয়াসির শাহের বলে এলবি হয়ে। ১টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।

রবি বোপারা খেলেন ৪০ বল। আউট হন ৫৫ রান করে। ফরহাদ রেজার বলে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ম্যালকম ওয়ালারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বোপারা। ৪টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।

শেষ ওভারে এসে আউট হন সোহেল তানভির। তবে তাতে কোনই প্রভাব পড়লো না সিলেটের জযের পথে। শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচ হলেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়েছ সিলেটই। ঢাকার বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি। ২ উইকেট পান ফরহাদ রেজা। ১টি নেন ইয়াসির শাহ।

আইএইচএস/পিআর