ক্রিকেটার শাহাদাতের জামিন

শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনকে ৩১ মার্চ পযর্ন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে শাহাদতের পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট জাহিরুল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শাহাদতকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এই ক্রিকেটারের জামিন আবেদন নাকচ করেছিল।

এর আগে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত গত ১ ডিসেম্বর শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেন। গত ৫ অক্টোবর শাহাদত ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক ইউসুফ হোসেন জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকার মালিবাগের একটি বাসা থেকে শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিনকে করে পুলিশ। গত ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদাত থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর ওই শিশুকে পাওয়া যায়।

পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুকে পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান খন্দকার মোজাম্মেলক হক নামের এক সাংবাদিক। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের কাছে শাহাদাতের বাসায় নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ দেয় শিশুটি।

সাংবাদিক মোজাম্মেল এ ঘটনায় মামলা করলে নিরুদ্দেশ হন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ও তার স্ত্রী। নির্যাতনের বর্ণনায় ওই শিশু নিম্ন আদালতকে বলেছে, শাহাদাত রুটি বানানোর বেলন দিয়ে তাকে পিটিয়ে পরে আবার আঘাতের স্থানে বরফ লাগাতেন। চোখের উপর অংশে বেশ কয়েকবার বেলন দিয়ে পেটানো হয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছে মেয়েটি।

এদিকে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় শাহাদাতকে জাতীয় দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।  

এফএইচ/এসএইচএস/পিআর