ঢাকাকে হারিয়ে দ্বিতীয় রংপুর
১৩৫ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারলো না ঢাকা। চট্টগ্রামে গিয়ে যে হতাশা সঙ্গী হয়েছিল, সেই হতাশার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো ঢাকায় ফিরেও। সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের সামনে ১৩৫ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়ে সেটাকে রক্ষা করতে পারলো না। উল্টো ১০ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিলো রংপুর রাইডার্স।
এই জয়ে কুমিলা ভিক্টোরিয়ান্স আর বরিশাল বুলসের সঙ্গে একই কাতারে উঠে এলো রংপুর রাইডার্স। তিন দলেরই এখন পয়েন্ট সমান ১০ করে। তবে রান রেটে সবার চেয়ে এগিয়ে এখন মাশরাফির কুমিল্লা। রংপুর রাইডার্স রান রেটের ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে। তিন নম্বরে নেমে গেছে বরিশাল বুলস।
ম্যাচ জয়ের জন্য এদিন ঢাকা চারজন পেস স্পেশালিস্ট দিয়ে দল সাজায়। মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইরফান, সোহেল খান এবং আবুল হাসান রাজু। সঙ্গে ছিলেন সৈকত আলির মতো মিডিয়াম পেসারও। অর্থাৎ ৫ পেসার নিয়ে খেলতে নামে কুমার সাঙ্গাকারার দল। স্পিনার হিসেবে ছিলেন মাত্র নাসির হোসেন। পাঁচ পেসার নিয়েও জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি ঢাকা ডাইনামাইটস।
জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর সৌম্য সরকারই ভিত রচনা করে দিয়ে যান। ৬.২ ওভারে ৩৮ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা দু’জন। ২৭ বলে ২১ রান করে আবুল হাসানের বলে সাদমান ইসলামের হাতে সৌম্য সরকার ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ২২ বলে ১৮ রান করে আবুল হাসানের বলেই মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সিমন্স।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জহুরুল ইসলাম অমিই মূলত রংপুরের জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। তার আগে সাকিব আল হাসান আউট হন ৬ বলে ৮ রান করে। ড্যারেন স্যামি ২১ বলে করেন ২৩ রান। ২৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন জহুরুল ইসলাম অমি। তার সঙ্গী থিসারা পেরেরা অপরাজিত থাকলেন ৮ বলে ৮ রান করে।
ঢাকার পক্ষে ২টি উইকেট নেন আবুল হাসান রাজু। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
আইএইচএস/বিএ