সহজেই প্রথম রাউন্ড পার হয়ে গেলেন ফেদেরার-সেরেনা
৩৯ বছর বয়সে এসেও রজার ফেদেরার বললেন, এখনও শিখছি আমি। ২০১৯ সালের পর এবারই ফ্রেঞ্চ ওপেনের ক্লে কোর্টে মাঠে নামলেন সুইস রাজপুত্র। নেমেই সহজ জয়ে প্রথম রাউন্ড পার করলেন তিনি। ৬-২, ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে সরাসরি সেটে উজবেকিস্তানের ডেনিস ইস্তোমিনকে পরাস্ত করেন ফেড এক্সপ্রেস।
রজার ফেদেরারের মত না হলেও, খুব কষ্টে প্রথম রাউন্ড পার করলেন নারী টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস। রোমানিয়ান তারকা ইরিনা ক্যামেলিয়া বেগু বেশ ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন সেরেনাকে। ম্যাচটি ছিল ফ্লাড লাইটের আলোয়। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে এটাই ছিল প্রথম লাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত ম্যাচ। দুই সেটের লড়াইয়ে তিনি জিতেছেন ৭-৬(৬), ৬-২ ব্যবধানে।
৩৯ বছর বয়সী সেরেনা উইলিয়ামস রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী অস্ট্রেলিয়ান টেনিস তারকা মার্গারেট কোর্টের চেয়ে ১টি শিরোপা পেছনে রয়েছেন। আর একটিমাত্র শিরোপা জিততে পারলেই কোর্টকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। ২টি জিতলে তো কথাই নেই, ইতিহাসে এককভাবে নিজের নামটি লিখে ফেলবেন তিনি।
সে লক্ষ্যেই এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলতে নেমেছেন ৩টি ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই মার্কিন টেনিস তারকা। ক্যামেলিয়া বেগুর বিপক্ষে প্রথম সেটে একসময় ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন সেরেনা; কিন্তু এরপর খেলায় ফিরে আসেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ৬-৪ ব্যবধানে এগিয়ে যান বেগু।
কিন্তু ম্যাচের রোমাঞ্চ তখনও বাকি ছিল। চ্যাম্পিয়নদের মতো প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে প্রথম সেট জিতে নেন সেরেনা। রোমানিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রথম সেটে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও দ্বিতীয় সেটে সেরেনার সমানে দাঁড়াতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় সেট পকেটে পুরে স্ট্রেট সেটে ম্যাচ জিতে নেন মার্কিন তারকা।
রোলাঁ গারোয় প্রথম রাউন্ড জেতার পর ৩৯ বছর বয়সী সেরেনা বলেন, ‘রাতের ম্যাচ আমার মোটেও ফেবারিট নয়। আমার রেকর্ডও ভালো নয়। এই ম্যাচের প্রথম সেটেও বেগ পেতে হল। তবে এটাও সত্যি রোলাঁ গারোয় প্রথমবার রাতের ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। প্রথম রাতের ম্যাচ খেলে ভালোই লাগছে। খেলাটা আমি উপভোগও করেছি।’
ফ্রেঞ্চ ওপেন খুব একটা খেলা হয় না রজার ফেদেরারের। ২০১৫ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলছেন এই সুইস তারকা। মাঝে একবার খেলেছিলেন, ২০১৯ সালে।
চলতি বছররে মাত্র নিজের চতুর্থ ম্যাচে স্ব-মহিমায় দেখা গেল ‘ফেড এক্সপ্রেস’কে। হাটুঁতে পরপর দু’বার অস্ত্রোপ্রচারের পর কোর্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফিরে আশার আলো দেখছেন রজার। তিনি জানান, ‘ফিরে এসে উচ্চস্তরে ভালো খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আমি কেমন খেলছি সেটাই বরাবর আমার কাছে নিজেকে পরিমাপ করার মাপকাঠি ছিল। আশা করছি উইম্বলডনে আমি সেটা প্রমাণ করতে পারব। তবে মনে হয় প্যারিসেও আমার জন্য কিছু রয়েছে। দেখা যাক কী হয়।’
২০১৯ সালে শেষবার রোলাঁ গারোর কোর্টে দেখা গিয়েছিল পুরুষদের বিভাগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী (যুগ্মভাবে) তারকাকে। সে বার সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়নকে। তবে চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিততে খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি সুইস তারকাকে।
ইস্তোমিনের বিরুদ্ধে এ নিয়ে আট ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে নিজের শতভাগ রেকর্ড বজায় রাখলেন রজার। পরের রাউন্ডে আবারও এক চেনামুখ মারিন চিলিচের বিপক্ষে নিজের ১১ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামবেন ফেদেরার। তবে ৪৮৭ দিন পরে গ্র্যান্ড স্ল্যামের আঙিনায় ফিরে ফের নিজের জাত চেনালেন ফেদেরার।
আইএইচএস/এমএস