চিটাগাংকে হারিয়ে শীর্ষে মাশরাফির কুমিল্লা
জয়ের জন্য মাত্র ১৩৭ রানের লক্ষ্য। সহজ এই লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই পার হয়ে গেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল কায়েস, আহমেদ শেহজাদ এবং শোয়েব মালিকের দুর্দান্ত ব্যাটের ওপর ভর করে ৫ উইকেটে চিটাগাং ভাইকিংসকে হারিয়েছে মাশরাফির দল। এই জয়ের ফলে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো কুমিল্লা।
৭ ম্যাচে কুমিল্লার পয়েন্ট ১০। এক ম্যাচ কম খেলে বরিশাল বুলসেরও সমান পয়েন্ট। তবে রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে মাশরাফিরাই। দিনের প্রথম খেলায় রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে কুমিল্লাকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছিল বরিশাল। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে আবারও বরিশালকে পেছনে ফেললো কুমিল্লা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে চিটাগাং ভাইকিংসকে মাত্র ১৩৬ রানে বেধে রাখতে পেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জয়ের জন্য ১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জবাবটাও দুর্দান্তভাবে দিতে শুরু করে মাশরাফি বিন মর্তুজারা। যদিও শুরুতে লিটন দাসকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে মাশরাফির দল। কিন্তু ইমরুল, আহমেদ শেহজাদ এবং শোয়েব মালিকদের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে তর তর করে এগিয়ে যায় ভিক্টোরিয়ান্স।
তাসকিন আহমেদের বলে দলীয় তিন রানের মাথায় লিটন কুমার দাসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন ফেরার সময় দলীয় রানও ছিল ৩। এরপরই ইমরুল কায়েস আর আহমেদ শেহজাদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় মাশরাফির দল। দু’জন মিলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। ২৮ বলে ৩৫ রান করে দিলশানের বলে উইকেটের পেছনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল। দলীয় রান তখন ৫৫।
এরপর শোয়েব মালিককে নিয়ে জুটি বাঁধেন আহমেদ শেহজাদ। চিটাগাংয়ের বোলারদের শাসন করে দু’জন মিলে কুমিল্লাকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝ পথে বাধ সাধেন বিলাওয়াল ভাট্টি। ১৫তম ওভারের ৩য় বলে আউট হয়ে যান শেহজাদ। ৪১ বলে ৩৭ রান করেন পাকিস্তানি এ ওপেনার।
শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আসহার জাইদি। মাত্র ১৬ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে আউট হয়ে যান জাইদি। শুভাগত হোম এসেও বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। মাত্র ২ রানে বোল্ড হয়ে যান আমিরের বলে। এরপর অলক কাপালিকে নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন মালিক। শেষে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন তিনি। অপরপ্রান্তে অলক কাপালি অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।
চিটাগাংয়ের মোহাম্মদ আমির নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন, বিলাওয়াল ভাট্টি এবং তিলকারত্নে দিলশান।
আইএইচএস/বিএ