ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শেবাগকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দিল বিসিসিআই

প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫

২৮ বছর পর ভারতকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। ২০১১ বিশ্বকাপের ওয়াংখেড়ে ফাইনালের পর থেকেই ভারতীয় দলে ভ্রাত্য হতে শুরু করে বিরেন্দর শেবাগ। দলে সুযোগ না পাওয়ার ফলে ফরমও হারিয়ে ফেলেন একসময় এবং একদিন দেখা গেলো শেবাগ এখন অতীত। তবুও বার বার ফিরে আসার চেষ্টা করেছে ‘বিরু’; কিন্তু কোনবারই আর পারেননি নিজেকে ফেরাতে। অবশেষে চলতি বছরের ২০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান বিরেন্দর শেবাগ।

আনুষ্ঠানিক বিদায় বলে দিলেও শেবাগ চেয়েছিলেন বিসিসিআই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাক। অন্ততঃ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরোজ শাহ কোটলা টেস্টে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠান করে হলেও তাকে বিদায়টা জানানো হোক। এ নিয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে বেশ দাবি ওঠে। কিন্তু দিল্লি টেস্ট শুরুর আগেরদিন পর্যন্ত বিসিসিআইর তরফ থেকে কোনভাবেই মুখ খোলা হচ্ছিল না, আসলে তারা শেবাগকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা দেবে কি দেবে না।

শেষ পর্যন্ত দিল্লি টেস্টের প্রথমদিন শেবাগের জন্য চমক নিয়েই হাজির হলো। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হলো টেস্টের ত্রিপল এবং ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে। টেস্ট শুরুর আগেই তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানানো হয়। বিসিসিআই সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। তিনিই শেবাগের হাতে তুলে দেন বিদায়ী ক্রেস্ট। এ সময় বিদায়ী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শেবাগের পরিবার এবং তার দুই ছেলে। বিদায়ী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ছবিও তোলেন শেবাগ।

বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাফ্লুত হয়ে পড়েন শেবাগ। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনে অবদান রাখার জন্য রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে এবং সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে ভুল করলেন না তিনি। একই সঙ্গে টেস্ট কেরিয়ারে দু’বার ট্রিপল সেঞ্চুরি করেও ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙতে না-পারায় আফসোস ঝরেছে বীরুর কণ্ঠ থেকে৷

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেবাগ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি৷ কারণ, আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন সবাই বলত শেবাগ ভালো ওয়ানডে ব্যাটসম্যান৷ এরপর রঞ্জি ট্রফিতে অনেক বড় ইনিংস খেলায় টেস্টে সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম৷’

২০০১ সালে ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেন বীরু৷ প্রোটিয়া পেস বোলারদের বিরুদ্ধে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় ওপেনার৷ শেবাগ বলেন, ‘সুযোগ পেয়ে খুব উত্তেজিত ছিলাম৷ অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত৷’

দু’বার ট্রিপল সেঞ্চুরি সত্ত্বেও লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙতে না-পারায় দুঃখিত শেবাগ৷ তিনি বলেন, ‘৪০০ রানের ইনিংস খেলতে পারতাম৷ ভেবেছিলাম চিপকে ৪০০ রান করে লারার রেকর্ড ভাঙব৷ কিন্তু ৩১৯ রানে আউট হয়ে যাই সেদিন৷’

আইএইচএস/পিআর