ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আফ্রিদিকে বোল্ড করে জবাব দিলেন আমির

প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সিলেট সুপার স্টারস বনাম চিটাগাং ভাইকিংসের ম্যাচটি ছিল পয়েন্ট তালিকার নিচে থাকা দুই দলের লড়াই। দুই দলেরই ঝুলিতে মাত্র একটি করে জয়।

পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে থাকা দুই দলের লড়াই হলেও এই ম্যাচটি বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়েছে দর্শকদের মনে। একে তো ম্যাচটি হচ্ছে দু’দলের টিকে থাকার লড়াই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রথম ম্যাচে তামিমের সঙ্গে সিলেট কর্তৃপক্ষের বাক-বিতাণ্ডার তিক্ত অভিজ্ঞতাও।

কিন্তু পর্দার আড়ালে যে আরও একটি দ্বৈরথ লুকিয়ে ছিল এই ম্যাচে! কিছুদিন আগেই মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আফ্রিদি। আমিরকে পাকিস্তান জাতীয় দলে না নেয়ার কথা সরাসরি বলেছিলেন তিনি।

অথচ বিপিএলের মঞ্চে এসে আফ্রিদি নিজের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়ে গেলেন মোহাম্মদ আমিরের। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর এই প্রথম আফ্রিদির বিপক্ষে বোলিং করলেন আমির। শেষ পর্যন্ত পারফরমেন্সের বিচারে এই দ্বৈরথে জয় হলো আমিরেরই।

২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেটের ইনিংস যখন ধুঁকছে তখন ব্যাট করতে আসেন আফ্রিদি। প্রথম বলই তিনি মোকাবেলা করেন আমিরকে। নেন ১ রান। এরপর মাঝে আর আফ্রিদিকে বল করতে আসেননি আমির। এলেন ১৮তম ওভারে। ততক্ষণে আফ্রিদিও চড়ে বসেছেন চিটাগাংয়ের বোলারদের ওপর। ৪০ বলে খেলে ফেলেছেন ৬২ রানের এক টর্নেডো ইনিংস।

কিন্তু আফ্রিদিকে নিজের দ্বিতীয় বল করতে এসেই দারুন এক ডেলিভারি দিলেন আমির। বলটি যতটুকু বাউন্স হবে ভেলেছিলেন আফ্রিদি, হলো তার চেয়ে একটু বেশি। ফলে ব্যাটে না লেগে বলটি উড়িয়ে নিয়ে গেলো বুম বুম আফ্রিদির স্ট্যাম্প। দুই বল মোকাবেলা করেই আমিরের কাছে হেরে গেলেন আফ্রিদি। চিটাগাংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবাল হয়তো তখন আফসোস করেছিলেন, ইস! কেন যে আরও আগে আমিরকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনলাম না!

টেস্ট ক্রিকেটে কোন একটি ইনিংসে একটি নো বল খুব একটা প্রভাব ফেলে না; কিন্তু একটিমাত্র নো বলই দারুণভাবে প্রভাব ফেলে যাচ্ছে আমিরের পুরোটা জীবনে। সেটি যে স্বাভাবিক কোন ‘নো’ বল ছিল না!

স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ওই এক ‘নো’ বলের খেসারৎ দিতে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন পাঁচ বছর, জেলও খেটেছেন। তবুও পেছনে ফেলতে পারছেন না সেই অন্ধকার জীবনকে। সাবেক অনেক পাকিস্তানিই তার বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন। সবাই তার অন্ধকার জীবনকেই সামনে টেনে আনছেন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু আফ্রিদিই নয় সমালোচনা করেছেন মোহাম্মদ হাফিজও। এমনকি আমিরের কারণে বিপিএলকেই ‘না’ করে দিয়েছেন হাফিজ।

বুম বুম খ্যাত আফ্রিদি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বলেছিলেন, ‘বাট, আসিফ ও আমিরের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এই ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছে। তাই এই তিন ক্রিকেটারের ফিরে আসাটা খুব সুখকর হবে না দলের জন্য।’

কিন্তু ক্রিকেট জীবন থেকে পাঁচ বছর কেটে গেলেও বোলিংয়ের ধার কমেনি আমিরের। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে দারুণ বোলিং করে যাচ্ছেন এই পেসার। আফ্রিদিকে বোল্ড করে একটা নীরব বার্তাও দিয়ে দিলেন তিনি, পারফরমেন্সের বিচারে এখনও জাতীয় দলের খেলার যোগ্যতা রাখেন এই বাঁ-হাতি পেসার।

আরটি/আইএইচএস/এমএস