ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ঢাকাকে ১১১ রানের টার্গেট দিয়েছে কুমিল্লা

প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের তোপে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে বড় স্কোর করতে দেয়নি ঢাকা ডায়নামাইটস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে ভিক্টরিয়ান্সকে ১১০ রানেই আঁটকে দেয় ঢাকার দলটি। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং ক্রিসমার সান্তোগির দায়িত্বশীল ইনিংসে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে কুমিল্লা। আবুল হোসেন রাজুর করা প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েসকে হারায় তারা। মিড অফে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারেই ফরহাদ রেজার বলে মুস্তাফিজকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

তৃতীয় ওভারে বিপর্যয় থেকে বিপদ বাড়িয়ে তোলে কুমিল্লা। চার নম্বরে নামা শুভাগত হোমকে ফিরিয়ে দেন আবুল হাসান। দলীয় ২১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রান করে ইয়াসির শাহর তালুবন্দি হয়ে ফেরেন শুভাগত। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৬ রান যোগ হতেই ফিরে যান তিন নম্বরে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস। ৯ বলে ৮ রান করে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হন ক্যারিবীয় তারকা।

স্যামুয়েলসের বিদায়ের পর দলীয় ৩৬ রানে রান আউটে কাটা পড়েন ড্যারেন স্টিভেন্স। মোশারফ হোসেনের বলে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হন এই ব্যাটসম্যান। এরপর দুই নবীন খেলোয়াড় মাহমুদুল এবং আরিফুল দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। দলের হয়ে এই জুটি ২৩ যোগ করার পর মোশারফ হোসেনের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন আরিফুল। ফলে বলে ধরে সহজেই স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন উইকেটরক্ষক সাঙ্গাকারা।

এরপর ৭ রান যোগ করতেই দলীয় ৬৬ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয় কুমিল্লার। মোশারফের বলে উইকেটরক্ষক সাঙ্গাকারার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল। ৩০ বলে ২টি চারে ২২ রান করেন তিনি।

৬৬ রানে সাত উইকেট হারানোর পর সান্তোগিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাশরাফি। এই দুই ব্যাটসম্যান ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করে রাজুর বলে আউট হন মাশরাফি। ২৬ বলে ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি। সান্তোগি শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৩টি চারে ১৬ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে আবুল হোসেন ২৯ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। মোশারফ হোসেন ২টি উইকেট নেন ১৫ রানে। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান এবং ফরহাদ রেজা।

আরটি/এমআর