ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

রোমাঞ্চকর জয় পেলো রংপুর

প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫

পাকিস্তানি মিসবাহ উল হক এবং শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংইয়ে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয় সাকিববাহিনী।

চট্টগ্রাম ভাইকিংসের দেয়া ১৮৮ রানের বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে শুরুতেই পেসারদের তোপে পড়ে রংপুর রাইডার্স। মোহাম্মদ আমিরের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও হার মানতে বাধ্য হয় ভাইকিংস।

মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে রাইডার্সবাহিনী। নিজের প্রথম ওভার মেডেন নেবার পর দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আমির। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ক্যারাবিয়ান ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সকে তামিমের ক্যাচে পরিনত করে সাজঘরে ফেরান এই পাকিস্তানি। পরের বলেই বাংলাদেশের হার্ডহিটার সৌম্য সরকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৯ বলে ৩টি চার এবং ১টি ছক্কায় ২০ রান করেন সৌম্য।

আমিরের আঘাতের পর স্বরূপে ফেরেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে ১৬ দিলেও দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ মিথুনকে। তাসকিনের পর ভাইকিংস দুর্গে আঘাত হানেন শফিউল। রাইডার্স অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের গ্লাভসবন্দী করেন তিনি।

এরপর পাকিস্তানের সাদা জার্সির অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন মোহাম্মদ আল-আমিন। ৬৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচে রাখেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৮৭ রানে চিগুম্বুরার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান আল-আমিন। ২৮ বলে ৩টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই তরুণ।

আল-আমিনের বিদায়ের পর ব্যাটিংইয়ে নামেন শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা। ১৭ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।

তবে তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে পর পর দুই বলে ম্যাচের মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দেন আমির। মেন্ডিসের ক্যাচে পরিনত করে পেরেরাকে ফেরান নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরা এই পাকিস্তানি। পরের বলেই দারুণ এক কাটারে মিসবাহকে ফেরান তিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি। ৩৯ বলে ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন মিসবাহ।

শেষ ওভারে জয়ে জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। ক্যারাবিয়ান সাবেক অধিনায়ক স্যামির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ বলে দারুণ জয় পায় রাইডার্স।  চট্টগ্রাম ভাইকিংসের পক্ষে ৩০ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার।

এর আগে রোববার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং শেষদিকে জীবন মেন্ডিসের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের দলটি।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও করে দুর্দান্ত করে চট্টগ্রাম। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং তিলকারাত্নে দিলশানের ব্যাটিং ঝড়ে মাত্র চার ওভারের অর্ধশত রান করে তারা। দলীয় ৫২ রানে আবু জায়েদের বলে আরাফাত সানীর হাতে ক্যাচ দিয়ে দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে সাজঘরে ফেরত যান তিলকরাত্নে দিলশান। ১৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রান করেন এই লঙ্কান। এরপর বিজয়কে নিয়ে আরও একটি চমৎকার জুটি গড়েন তামিম। ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে আনেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

এরপ সাকলায়েন সজিব ঘূর্ণি বলে ম্যাচে দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে রংপুর। এক উইকেটে ১১৭ রান এরপর ৫ রান যোগ করতে চার উইকেটে ১২২। সিমানার কাছে ভাইকিংস অধিনায়ক তামিমকে মিসবাহর ক্যাচে পরিনত করে নিজের প্রথম শিকার করেন সজিব। ৩২ বলে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৫১ রান করেন তামিম। এরপর আরেক সেট ব্যাটসম্যান বিজয়কে লং অফে স্যামির ক্যাচে পরিণত করেন সজিব। ৩০ বলে ৩৬ রান করে সাজঘইরে ফেরেন বিজয়।

দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর হার্ডহিটার জিয়াকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সজিব। সজিবের পর দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসে আবু জায়েদ তার দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এল্টন চিগুম্বুরাকে।

এরপর আসিফকে সঙ্গে নিয়ে কার্যকরী একটি জুটি গড়ে তুলেন জীবন মেন্ডিস। মাত্র ১৮ বলে ৩টি ছক্কা এবং ৩টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন এই লঙ্কান। এছাড়া আসিফ আহমেদ ১৭ রান করেন। রংপুর রাইডার্সের ২৬ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাকলায়েন সজিব। এছাড়া ২টি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি।

আরটি/এমআর