ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

ক্রেমারের বোলিং ঘূর্ণিতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে পঞ্চম আঘাত হানে সফরকারীরা। ফলে ৮০ রানে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়েছে স্বাগতিকরা। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে নাসির হোসেন এবং তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান ক্রেমার। ২৮ বল মোকাবেলা করে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন তামিম। আর নাসির হোসেন করেন ১৬ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ১০ আর লিটন দাস ১৫  রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে সিকান্দার রাজার হাতে  ক্যাচ দিয়ে ক্রেমারে প্রথম শিকার হন দেশ সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ষষ্ঠ ওভারে তেনদাই চিসোরোর বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে ফিরে যান সাব্বির রহমান।

১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এনামুল হক বিজয়কে হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে দ্রুততার সঙ্গে রান নিতে গেলে রান আউট হন এই ব্যাটসম্যান।

এর আগে ম্যালকম ওয়ালারের ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৩১ রানের টার্গেট দিয়েছে সফরকারীরা। শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ আপ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং নেমে শুরু থেকেই চাপে পরে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১০ রানে রাজা, চিবাভা এবং অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে হারিয়ে বিপদে পরে সফরকারীরা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে জিম্বাবুয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন শেন উইলিয়ামস এবং ক্রেইগ আরভিন। দলের হয়ে এই জুটি ৩৮ রান করে প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে নেন। তবে নাসিরে বলে উইলিয়ামস ফিরে গেলে আবার চাপে পরে যায় সফরকারীরা।

এর পর ওয়ালারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরভিন। এই জুটির করা ৬৭ রানে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। মাত্র ২০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করেন ওয়ালার। ১৫তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ আরভিনকে বোল্ড করে বিপদজনক হয়ে ওঠা পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙ্গেন।

দলীয় ১২৭ রানে বাংলাদশের হয়ে হুমকি হয়ে ওঠা ওয়ালারকে ফেরান হালের সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওয়ালার। আউট হবার আগে ৪টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩১ বলে ৬৮ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৩ বল খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পান মুসাফিজুর, মাশরাফি, আল-আমিন ও জুবায়ের হোসেন। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ও নাসির একটি করে উইকেট নেন।

আরটি/এমআর

আরও পড়ুন