মাশরাফির আঘাতে খেলার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক দেশ সেরা পেসার মাশরাফি মুর্তজা। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে মাশরাফি এবং আল-আমিনের বোলিং তোপে দারুণভাবে খেলায় ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।
৩৭তম ওভারে মাশরাফির করা বলে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন শেন উইলিয়ামস। এর আগে ওয়ালারকে নাসিরের ক্যাচে পরিনত করে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন আল-আমিন। ৮৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৩ রান করেন উইলিয়ামস। এবং ৪০ বলে ৩২ রান করে আউট হন ওয়ালার।
শেন উইলিয়ামসের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ম্যালকম ওয়ালার টাইগারদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছিলেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসাবে মাঠে নেমেছেন লুক জিংউই এবং সিকান্দার রাজা।
এর আগে সফরকারি দলের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন সাব্বির। ৪৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরশেন উইলিয়ামস এবং অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরার চতুর্থ উইকেট জুটি ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। এই দুই ব্যাটসম্যান দলের পক্ষে ৮০ রান যোগ করেন। এর আগে মুস্তাফিজুরের পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন নাসির হোসেন। ক্রেইগ আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান এই অলরাউন্ডার।
তবে জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশ দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজের দারুণ এক কাটারে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রেগিস চাকাভা। আর ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই চামু চিবাভাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। মুস্তাফিজুরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরে গেছেন সফরকারি দলের এই ওপেনার।
বুধবার প্রাণ আপ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ দুই ওপেনারের দুটি অর্ধশতর পাশাপাশি শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো অর্ধশতকে উপর ভর করে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করেছে টাইগাররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ আপ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। দুই ওপেনারই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে করেন। ৯৫ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন ইমরুল। আরেক ওপেনার তামিম ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করতে বল মোকাবেলা করেন ৯৮টি।
তিন নাম্বারে নেমে মুশফিকুর রহিম করেন ২৫ বলে ৩৮ রান। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ৪০ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৫২ রানে করেন। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি ৩টি চারে ১১ বলে ১৬ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে জংউই এবং ক্রেমার ২টি অরে উইকেট পান যথাক্রমে ৫০ এবং ৫৩ রানে।
আরটি/এমআর