ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সাকিবের জোড়া আঘাত

প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ দলের হয়ে জিম্বাবুয়ে শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হেনেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলা ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন এই অলরাউন্ডার।

এর আগে ১৪তম ওভারের প্রথম বলে মিড অফে দাঁড়ানো নাসির হোসেনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ক্রেইগ আরভিন। দলের প্রথম উইকেটও সাকিব দশম ওভারের প্রথম বলেই পেয়েছেন। তবে সে উইকেটে লিটন দাসের কৃতিত্বও কম নেই। প্রায় বিস গজ দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন তিনি।

এর আগে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং সাব্বির রহমানের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটসম্যানের শতরানের জুটিতে চার উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে বাংলাদেশ।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। তবে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৩০ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সৌম্য সরকার ইনজুরির কারণে ছিটকে গেলে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন লিটন দাস। তবে ওপেনিংয়ের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পাড়েননি এই ব্যাটসম্যান। জংউইর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে গ্যালিতে সহজ তুলে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আর তা লুফে নিতে কোনো ভুল করেননি গ্রায়েম ক্রেমার।

নবম ওভারে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে হারায় বাংলাদেশ। তিনাশে পানিয়াঙ্গারার ভিতরের দিকে আসা বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটসম্যান।

এরপর বাংলাদেশ দলের সাদা জার্সির অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তামিম। স্বাভাবিক স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে একপ্রান্তে ধীরে ব্যাট করতে থাকেন এই ওপেনার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। শুরু থেকে দেখে শুনে খেলা তামিম হঠাৎই ধৈর্য হারিয়ে  সিকান্দার রাজার বলে লং অনের উপর দিয়ে ছয় হাকাতে গিয়ে লুক জংউইর হাতে ধরা পড়েন। আউট হবার আগে ৪০ রান সংগ্রহ করেন তামিম। ৩টি চার এবং ২টি ছাক্কায় সাজানো এই রান করতে বল মোকাবেলা করেছেন ৬৮টি।

তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসাবে সাকিব সাজঘরে ফেরেন পার্ট টাইম বোলার সিকান্দার রাজার বলে। ডাউন দ্যা উইকেট খেলতে গিয়ে বলের ফ্লাইট মিস করেন সাকিব। তবে বল ঠিকমত গ্লাভসবন্দী করতে না পারলেও উইকেটরক্ষক মুতুমবামির হাতে লেগে বল স্ট্যাম্পে লাগলে সাজঘরের পথ ধরতে হয় বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে।

১২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পরা বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। সঙ্গি হিসাবে পান তরুণ তুর্কি সাব্বির রহমানকে। এই দুই ব্যাটসম্যান ১১৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সন্মানজনক স্থানে পৌঁছে দেন। তবে দলীয় ২৪২ রান থেকে ১ রান যোগ করতে মাত্র ছয় বলে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ক্রেমারের সরাসরি থ্রোতে রানআউটে কাটা পরার আগে ক্যারিয়ার সেরা ৫৭ রান করেন সাব্বির রহামান। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার। সাব্বিরের বিদায়ের পর চিবাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে কোন রান না করেই ফিরে যান নাসির হোসেন। পরের বলেই ক্রেমারের আরও একটি দারুণ থ্রোতে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। তবে আউট হবার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে ৯টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।

শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি ১টি ছক্কা ও ১টি চার এবং আরাফাত সানি ৩টি চারে ১৪ রান করে করলে ২৭৩ রানের বড় সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা এবং মুজারাবানি ২টি উইকেট পান যথাক্রমে ৪৭ এবং ৬৩ রানে। এছাড়া তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও লুক জংউই পান ১টি করে উইকেট।

আরটি/এমআর


আরও পড়ুন