ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

করোনায় বাতিল হতে পারে আগামী বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ০৭ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার বাতিল হয়েছে গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট উইম্বলডন। টেনিসের বিশ্বকাপ হিসেবেই যেটা পরিচিত। একই সঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে লাল কোর্টের ফরাসি ওপেনও। কিন্তু এই টুর্নামেন্টটি এই বছর আয়োজন সম্ভব কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। এমনকি বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনও অনুষ্ঠিত হবে কি না তা সন্দেহ রয়েছে।

এরই মধ্যে আগামী বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নিয়ে এখনই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। টেনিস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আয়োজন সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।

টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ক্রেগ টিলে এমনই এক সম্ভাবনা উসকে দিয়েছেন। করোনার কারণে যে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা আরও বেশি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার করোনার প্রভাব পুরো পৃথিবীতে পড়ার কারণে অস্ট্রেলিয়া সরকার আন্তর্জাতিক বিমান পরিসেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিসেবায় নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন টিলে। মূলতঃ জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় টেনিস মৌসুম। জানুয়ারির ১৮ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস।

টিলে সন্দেহপ্রকাশ করে বলেছেন আগামী বছর জানুয়ারিতেও আন্তর্জাতিক বিমান ওড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে তা মোটেই অস্ট্রলিয়ান ওপেনের জন্য ভালো খবর নয়। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বহির্দেশের অনুরাগীরা কতটা অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তা নিয়েও চিন্তিত টিলে। উল্লেখ্য, টেনিসে এটিপি-ডব্লুটিএ ট্যুর আপাতভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি অবধি। যদিও এরপর কতটা সহজ হবে টেনিস চালু করা, তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন এবং উৎকণ্ঠা।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে টিলে জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আমাদের হাতে চারটি পথ খোলা রয়েছে। প্রত্যেকটি বিকল্প পথ নিয়েই আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে আমার মতে সবচেয়ে নিরাপদ মনে হয় কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়ার অনুরাগীদের নিয়েই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আয়োজন করা এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা।’

প্রসঙ্গতঃ করোনায় অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সীমানা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে সে দেশের সরকার। প্রাথমিকভাবে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিসেবার ক্ষেত্রে।

আইএইচএস/