ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল
ব্যাটিং ব্যর্থতা ও সাদামাটা বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে কোণঠাঁসা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ভারত ‘এ’ দলের ৪১১ রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে সফরকারীরা। দিন শেষে ১৫৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়েছে মুমিনুলের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এনামুলের উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দুই ইনিংসেই শুন্য রানে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২১ রানে সৌম্য সরকার (১৯) বিদায় নিলে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে সফরকারীরা । এরপর দলীয় ৩৬ রানে দিনের ২৩ ওভার বাকি থাকতে বৃষ্টি কবলে পড়ে আর খেলা সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া ঠিক থাকলে মঙ্গলবার সকালে খেলতে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক (৯) এবং লিটন দাস (৭)।
ভারত ‘এ’ দল আগের দিনের এক উইকেটে ১৬১ রান নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে। ৫ উইকেটে ৪১১ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ১১৬ রান নিয়ে ব্যাট করা শেখর ধাওয়ান এদিন আরো ৩৪ রান যোগ করে ১৫০ রানে সাকলায়েন সজীবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৪৬ বলের এই ইনিংসে তিনি ১৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন। ধাওয়ানের বিদায়ের পর দ্রুতই বিদায় নেন আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্রেয়াস ইয়ার। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে স্রেয়াসকে বোল্ড করেন নাসির হোসেন।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে কারুন নায়ার এবং বিজয় শংকরের ১০৮ রানের জুটি আবারো বাংলাদেশ শিবিরে দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। এই দুই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। কিন্তু ততক্ষণে ভারত ‘এ’ দল পেয়ে যায় ৪১১ রানের বড় সংগ্রহ। বিজয় শংকর ৪টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ৮৬ রান করেন। কারুন নায়ার ১২টি চারের সাহায্যে করেন ৭১ রান। আর শেষদিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নামান ওঝা ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে জুবায়ের হোসেন ২টি উইকেট নেন। এছাড়া সাকলায়েন সজীব, নাসির হোসেন এবং শুভাগত হোম ১টি করে উইকেট পান।
প্রথম দিনে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ `এ` দল। তবে ব্যর্থতার মিছিলে সাব্বির রহমান অপরাজিত ১২২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। এছাড়া শুভাগত হোম ৬২ রান করে যোগ্য সঙ্গ দেন তাকে।
আরটি/এসকেডি/আরআইপি