ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আবারও শূন্য হাতে রবেন

প্রকাশিত: ০৩:১৭ এএম, ১০ জুলাই ২০১৪

আর্জেন্টিনা জয়, নেদারল্যান্ডসের হার। পিতার দল হেরে যাওয়ায় চিৎকার করে কান্না জুড়ে দিয়েছিল অবুঝ এক ডাচ শিশু-আরিয়েন রবেনের পুত্র সন্তান। বুধবার অ্যারিনা কোরিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে গেছে রবেনের দেশ নেদারল্যান্ডস। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে মেসিদের সঙ্গে স্টেডিয়াম ভর্তি হাজার হাজার আর্জেন্টাইন দর্শক আনন্দে মেতে ওঠেছিল। এই দৃশ্য দেখে কান্না জুড়ে দিয়েছে শিশুটি। পরাজয়ের কষ্ট ভুলে সন্তানকে সান্ত্বনা দিতে গ্যালারির দিকে ছুটে গিয়েছেন রবেন। পুত্রকে শান্ত করে মলিন মুখে ফিরে এসেছেন মাঠে। সন্তানকে তো রবেন সান্ত্বনা দিয়েছেন কিন্তু তাকে সান্ত্বনা জানাবে কে? রবেনের বুকে যে একডালি হতাশা আর কষ্ট!

বিশ্ব ফুটবলে বর্তমানে যে ক’জন তারকা ফুটবলার রয়েছেন রবেন তাদেরই একজন। বিশ্ব ফুটবলে অনেক বছর ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বীরত্ব নিয়ে। অসংখ্য সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে তার ক্যারিয়ারে। কিন্তু বিশ্বকাপ হতাশা থেকেই গিয়েছে এই ডাচ তারকার। বিশ্বকাপের মঞ্চেই একজন তারকা হয়ে ওঠেন মহানায়ক। এই জন্য যা গুণ থাকা প্রয়োজন এর সবই রয়েছে রবেনের। কিন্তু বারবার এই অর্জনের কাছাকাছি গিয়েও শূন্য হাতে বাড়ি ফেরা যেন তার নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপের গত আসরেও আলো ছড়িয়েছেন। তার দেশ নেদারল্যান্ডসও ফাইনালে পৌঁছেছিল। কিন্তু শেষ অবধি স্পেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপ আর জেতা হয়নি ডাচদের। রবেন বাড়ি ফিরেছিলেন শূন্য হাতে।

এবারের আসরের শুরু থেকে দারুণ দ্যুতি ছড়িয়েছেন রবেন। প্রতিপক্ষের কাছে রীতিমতো মূর্তিমান বিভীষিকা হয়ে ওঠেছিলেন। অপ্রতিরোধ্য গতি আর দৃষ্টিনন্দন ফুটবল ক্যারিশমায় বিশ্বকাপকে নিজের করে নেওয়ার উজ্জ্বল সম্ভবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিরুপ এবারও। আর্জেন্টিনাকে জয় করতে না পারায় শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে এবারও। বয়স ৩০ কোঠা পার হয়ে গেছে। পরবর্তী বিশ্বকাপের আসর যখন বসবে তখন বয়স হবে ৩৪। এই বয়সে আর বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। বুক ভরা হতাশা নিয়েই তাই বুধবার করিন্থিয়ান্সের মাঠ থেকে ডাচ ক্যাম্পে ফিরেছেন রবেন।

অবশ্য রবেন একা তো নয়, হতাশা বুকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে গোটা নেদারল্যান্ডসকে। বিশ্বকাপ যে এবারও অধরাই থেকে গেল। এর আগে ৩ বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেও বিশ্বকাপ জেতার ভাগ্য হয়নি ডাচদের।