ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ভারতের পিছনে না দৌড়ানোর পরামর্শ আফ্রিদির

প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সিরিজ খেলতে রাজি না হওয়ায় তাদের পিছনে না দৌড়াতে নিজ দেশের ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান টি-২০ অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।

সম্প্রতি একটি অনুশীলন ক্যাম্প চলাকালে সাংবাদিকদের আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, আমরা কেন ভারতের পিছনে দৌড়াচ্ছি।’

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রস্তাবিত দুই টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে কিনা জানতে চেয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ মাসের প্রথম দিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে একটি চিঠি লিখেছিল।

কিন্তু ভারত এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেয়নি এবং বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তে যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলছে তাতে ২০০৭ সালের পর দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

‘আরো অনেক বড় দল রয়েছে যাদের বিপক্ষে আমরা খেলতে পারি। কারণ আমরা বহুবার ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা খেলতে না চাইলেও আমরা খুশি।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রস্তাবিত সিরিজের বিষয়ে গত বছর দুই বোর্ড একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু দিল্লি এখনো এ বিষয়ে কোনো সবুজ সংকেত দেয়নি।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে সীমিত ওভারের একটি সিরিজ খেলার জন্য ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান দল। সে সফরে দুইটি টি-২০ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও দ্বিপাক্ষিক পূর্ণাঙ্গ সিরিজ পুনঃস্থাপিত হয়নি।

উভয় দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ সম্ভব নয় বলে জুলাই মাসে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই সম্পাদক অনুরাগ ঠাকুর।

তবে আফ্রিদি আরো বলেন, উভয় দেশের জনগণই ইন্দো-পাক সিরিজ দেখতে চায়।

পার্শবর্তী দেশটিতে গত ১৫ বছরে সর্বশেষ ২০০৪ সালে ভারতীয় দলের সফর সম্পর্কে আফ্রিদি বলেন, ‘পাকিস্তান যেভাবে ভারতীয় দলকে স্বাগত জানিয়েছিল, তা আর কখনো দেখা যায়নি।’

‘উভয় দেশের জনগণই ইন্দো-পাক সিরিজ দেখতে চায়। কারণ অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজের চেয়ে এটা বড়।’

ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত কি হবে তা জানেন না বলেও জানান আফ্রিদি।

তিনি বলেন, ‘কঠিন অবস্থার মধ্যে পাকিস্তান সব সময়ই ভারতকে সাহায্য করেছে। কিন্তু ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত কি হবে আমি জানি না এবং এ সিরিজ নির্ভর করছে তাদের উপর।’

একে/পিআর