সেঞ্চুরি করে পরের বলেই আউট রহমত শাহ, বিপদে আফগানরা
বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমত হতাশাতেই কাটছিল সময়টা। রহমত শাহ যে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন! দলীয় ১৯ রানের মাথায় ক্রিজে আসা আফগান এই ব্যাটসম্যান ১৯৭ রান পর্যন্ত উইকেটেই কাটালেন, গড়লেন একটার পর একটা জুটি। সেইসঙ্গে তুলেন নিলেন দুুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও।
শেষ পর্যন্ত রহমতের এই প্রতিরোধ ভেঙেছেন বাংলাদেশের তরুণ স্পিনার নাইম হাসান। আগের বলে দারুণ এক বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পূরণ করেন রহমত, পরের বলেই তাকে ঘূর্ণিফাঁদে ফেলেন এই অফস্পিনার। প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারের সহজ ক্যাচ হয়ে ফেরেন আফগান টেস্ট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। ১৮৭ বলে গড়া তার ১০২ রানের ইনিংসটি ছিল ১০ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সাজানো।
তৃতীয় বলে রহমত, ষষ্ঠ বলে এসে আরও এক উইকেট হারিয়ে বসে আফগানিস্তান। নাইমের ঘূর্ণিতে এবার কুপোকাত মোহাম্মদ নবী (০), ফেরেন পরিষ্কার বোল্ড আউটে। তাতে দুইশর আগেই (১৯৭ রানে) ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারিরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে কচ্ছপগতিতে শুরু করে আফগানরা। ১২.২ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে মাত্র ১৯। ইহসানউল্লাহকে (৯) বোল্ড করে এই জুটিটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তারই দ্বিতীয় শিকার ইব্রাহিম জাদরান (২১)।
৩৩তম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। ১৪ রান করা হাসমতউল্লাহ শহীদিকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান তিনি। ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আফগানিস্তান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত প্রতিরোধ।
আসঘর আফগানকে নিয়ে এই জুটিতে ১২০ রান যোগ করেন রহমত শাহ। তিনি ফিরলেও আসঘর আফগান এখনও উইকেটে আছেন ৫২ রান নিয়ে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৭ রান।
এমএমআর/এমকেএইচ