ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ফেডারেশনের ভুলে হকি কন্যা জেসির কান্না

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:০৮ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ যখন সিঙ্গাপুরগামী অনূর্ধ্ব-২১ নারী হকি দলের নাম ঘোষণা করলেন তখন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের টার্ফের পাশে সামিয়ানা টাঙানো অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত করতালিতে। মঞ্চের সামনে বসা হকির মেয়েদের সে কি উচ্ছ্বাস! সুযোগ পাওয়া মেয়েদের মুখে হাসির ফোয়ারা, একজন ঢলে পড়ছেন আরেকজনের গায়ে। মেয়েদের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের দলে সুযোগ পেয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো বলে কথা।

একটু পরেই মাইকে ঘোষণা-‘দলে একটা সংশোধন আছে। এখনই জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।’ মেয়েদের মধ্যে তখন মুখ চাওয়া-চাওয়ি। আবার কি হলো? বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের মিডিয়া অফিসার কনক মাহমুদ মাইকে জানিয়ে দিলেন, তালিকায় থাকা জেসমিন আরাফাত জেসির নামটি বাদ যাবে। সেখানে হবে মোকসেদা আক্তার মুন্নীর নাম। তখন মঞ্চের সামনেই হাসি-ঠাট্টায় মগ্ন ছিলেন জেসি।

মাইকের এই ঘোষণায় মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা ঝিনাইদহের এ কিশোরীর। সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও তার যাওয়া হচ্ছে না সিঙ্গাপুর। শুরু হলো কান্না। চেয়ারে শরীরটা যেন ধরে রাখতে পারছিলেন না জেসি। ছোটাছুটি করছিলেন এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে। সতীর্থরা তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু জেসির কান্নায় থামায় সাধ্য কার?

অনুষ্ঠানস্থলে ১৮ মেয়ের বিশাল পোট্রেট লাগানো। সেখানেও জ্বলজ্বল করছিল জেসির মুখ। কিন্তু ছবির আর জেসির বাস্তব মুখের মধ্যে তখন বিস্তর পার্থক্য। হাসিমাখা মুখটি মুহূর্তেই ভাসলো চোখের লোনা পানিতে। তার কান্নায় ভারি হয়ে উঠছিল অনুষ্ঠানস্থল। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরা, এমন কি হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদারও জেসির মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুতেই থামছিল না তার কান্না।

আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি উঠলো। শেষ মুহূর্তে জেসির পরিবর্তে কেন মুন্নীর নাম? মিডিয়া অফিসারের ব্যাখ্যা, ‘এটা প্রিন্টিং মিস্টেক।’ ২৫ সদস্যের প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৭ জন। তবে চোখের পানি ঝরেছে কেবল জেসিরই এবং সেটা স্রেফ ফেডারেশনের ভুলে।

আরআই/এমএমআর/এমএস

আরও পড়ুন