হকিতে সমঝোতার নির্বাচন চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে মুখোমুখি অবস্থানে দুই পক্ষ। এক পক্ষের নেতৃত্বে মোহামেডানের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, আরেক পক্ষের আবাহনীর আবদুস সাদেক। তিনি কাউন্সিলর হয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে।
মমিনুল হক সাঈদের সঙ্গে আছেন ঊষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার, আবদুস সাদেকের সঙ্গে ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এএ আদেল। রশিদ শিকদার ২০১৭ সালে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করলেও এবার সমর্থন দিচ্ছেন মোহামেডানের কাউন্সিলরকে।
নির্বাচন ঘিরে হকি সংগঠকরা যখন দুইভাগে বিভক্ত, তখন দেশের খেলাধুলার অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল চাইছেন তাদের এক করে একটি সমঝোতার কমিটি তৈরি করতে। সোমবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘একটি সমঝোতার কমিটি নির্বাচিত হলে যোগ্যদের রাখা সম্ভব হবে এবং তাতে হকিরই উন্নয়ন হবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠিত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট ৮ এপ্রিল। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১০ মার্চ। মনোনয়নপত্র বিতরণ ২৪ ও ২৫ মার্চ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল হকির নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখনো বসতেই পারিনি। সবাই মিলে সমঝোতার মাধ্যমে একটি কমিটি করতে পারলে ভালো হবে। কিন্তু এখানে কেউ কারো কথা শুনতে চায় না। আপসে একটা কমিটি হলে আর পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে না। দুইপক্ষ এক হয়ে কাজ করতে পারবে। নির্বাচনটাই আলোচনার মাধ্যমে হলে একটি যোগ্য প্যানেল পাশ করানো যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।’
হকি ফেডারেশনের ৫ সহ-সভাপতি, ১ সাধারণ সম্পাদক, ২ যুগ্ম সম্পাদক, ১ কোষাধক্ষ্য এবং ১৯ সদস্য- এই ২৮ পদের নির্বাচনের জন্য হবে ভোট। সভাপতি হয়ে থাকেন সরকার মনোনীত।
নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমার দিন ৩১ মার্চ। বাছাই,আপীল ও প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৪ এপ্রিল। ৮ এপ্রিল ভোট হবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত।
হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলর ৮৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১ টি জেলা। এর পর ৩১ ক্লাব। বিকেএসপি, সার্ভিসেস সংস্থা, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও শিক্ষাবোর্ড মিলে ৭, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ এবং ১ জন করে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা আম্পায়ার্স বোডের কাউন্সিলর হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম