২০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেও হাসি নেই জহিরের মুখে
অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে দৃশ্যটা যুগযুগের পুরোনো। কেউ সেরা হলে তাকে ধরিয়ে দেয়া হয় তার সংস্থার পতাকা। ফটো সাংবাদিকদের দাবি মেটাতে তাকে গায়ে পতাকা জড়িয়ে আবার খানিকটা দৌড়াতে হয়। তা না হলে যে ছবিটা জমে না! দৌড়ের ধকল সামলানোর আগেই অ্যাথলেটকে কষ্ট করে মুখে হাসি রাখতে হয়। বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা অবশ্য এতে এক প্রকার অভ্যস্ত। স্বর্ণ জয়ের পর ক্লান্তিভুলে মিডিয়ার আবদার মেটান।
শনিবার ২০০ মিটার দৌড়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার পর জহির রায়হানকেও বিকেএসপির পতাকা গায়ে জড়িয়ে আবার দৌড়িয়ে পোজ দিতে হলো ট্র্যাকে। মুখটা বেজাড়। ফটো সাংবাদিকদের কাছ থেকে দাবি, ‘একটু হাসুন’। জহির হাসলেন।
আগের দিন ৪০০ মিটারে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণ জয়ের পর ২০০ মিটারের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেও কেন মুখে হাসি নেই জহিরের মুখে? উত্তরটা-টাইমিং। ২১.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেও খুশি নন বিকেএসপির এ ছাত্র।
দৌড় শেষ হওয়ার পর কুলডাউনের কোনো সময়ই পাননি জহির। সাবেক এক অ্যাথলেট বললেন, ‘শেষ দিকটায় একটু স্লো হলে কেন? না হলে তো রেকর্ড হতো!’ জহির যেন অপরাধী। মাথা নিচু করে বললেন, ‘টায়ার্ড ছিলাম। মাশলটাও ক্র্যাম করেছিল।’
রেকর্ড গড়তে পারেননি জহির। ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ সাফ গেমসে ২১.১৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন প্রয়াত মাহবুব আলম। জহির রায়হান আফসোস করে বলছিলেন, ‘অল্পের জন্য হলো না।’
রেকর্ডটা তো পরে। নিজের সেরাটাও টপকাতে পারেননি। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সামার মিটে জহির স্বর্ণ জিতেছিলেন ২১.৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সময় নিলেন ০০.০৮ সেকেন্ড বেশি। মন খারাপের এটাও একটা কারণ জহিরের।
আরআই/এমএমআর/এমএস