বহিরাগতদের রাত্রিযাপন বরদাস্ত করবেন না ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
দেশের খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বর। এ স্টেডিয়াম ছাড়াও পল্টন ময়দান ঘিরে তৈরি হয়েছে ডজনখানেক ক্রীড়া স্থাপনা। বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশনের কার্যালয় এসব ভেন্যুতে; কিন্তু রাত হলেই এখানে নেমে আসে অন্ধকার। দোকানগুলো বন্ধ হওয়ার পর পুরোপুরি বদলে যায় স্টেডিয়াম অঙ্গন। তৈরি হয় ভূতুড়ে পরিবেশ। চারদিকে অন্ধকারে ঢেকে যায়। পুরো এলাকা চলে যায় মাদকসেবী আর নানা ধরণের অপরাধীদের দখলে।
স্থাপনার আলো নিভে গেলেও গভীর রাত পর্যন্ত আলো জ্বলতে দেখা যায় বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনে। ফেডারেশনের কার্যালয়গুলো নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ হওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটা হয় না। বেশিরভাগ ফেডারেশনে রাতে লোকজন থাকে- এ অভিযোগ বেশ পুরনো। ফেডারেশনের কর্মচারীরা থাকেন, বিশেষ সুবিধা নিয়ে তারা বহিরাগতদেরও থাকতে দেন। অনেকের অভিযোগ- এটা সিটভাড়া বাণিজ্য।
রাতে ফেডারেশনগুলোয় ঢু মারলে দেখা যায় রান্না-বান্নার দৃশ্য। আছে ইলেক্ট্রিক চুলা, হাড়ি-পাতিল। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়ে ফেডারেশনের কার্যালয়ে নিশ্চিন্তে রাত্রিযাপন করেন অনেক বহিরাগত।
এ বিষয়ে নতুন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি এমন হয়ে থাকে, সেটা অবশ্যই আতঙ্কের বিষয়। এটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। আমি সচিব সাহেবকে (পাশে বসা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম) বলবো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।’
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফেডারেশনগুলোকে এই জায়গা দেয়া হয়েছে খেলাধুলা পরিচালনার করার জন্য। এখানে যদি অন্য কোনও অন্যায় কাজ হয়, অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় সেটা অবশ্যই গর্হিত অপরাধ। অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।’
স্টেডিয়াম চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এখানে আলাদা পুলিশ বক্সের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেবেন বলেও জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল।
পল্টন ময়দানের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশে যে স্টেডিয়াম দেখি তার পুরো উল্টো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। এতদিন কিভাবে এগুলো হয়েছে চিন্তায়ই আসে না। এটা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এই স্টেডিয়ামটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে। এ স্টেডিয়ামের পরিবেশ এমন থাকতে পারে না। আমি চেষ্টা করবো এটার পরিবেশ মানসম্পন্ন করা যায় কি না। সবার সঙ্গে বসেই এটা ঠিক করবো, যাতে বিদেশীদের কাছে ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়।’
আরআই/আইএইচএস/এমএস