‘যখন একটা উইকেট পড়বে, তখন কিন্তু ৪-৫টা চলে যাবে’
অতিলৌকিক কিছু না হলে ঢাকা টেস্টে আর হারের সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের। তবে টাইগাররা তো হার নিয়ে ভাবছে না। কোনো কারণে যদি জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি ড্র করে ফেলে, তবে সেটাই তো হারের সমান হবে স্বাগতিকদের জন্য। প্রতিপক্ষকে বিশ্বরেকর্ড লক্ষ্য দিয়েছে বলেই নয়, এই ম্যাচটি ড্র হলে সিরিজও খুয়াতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে।
চতুর্থ ইনিংসে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। বিশ্বক্রিকেটে ৪১৮ রানের বেশি রান তাড়ার রেকর্ড নেই। বাংলাদেশে তো সেটা আরও কম। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ৩০৭ তাড়া করে জিতেছিল এখানে। সেটাই এখন পর্যন্ত রেকর্ড।
সবমিলিয়ে ঢাকা টেস্টে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম ও শেষ দিনে তাদের করতে হবে আরও ৩৬৭ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। সফরকারিরা নিঃসন্দেহে ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে।
তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থান, তাতে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকে আছে-বিশ্বাস করেন মিরাজ। চতুর্থ দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের দিকেই আছে। আমরা অলমোস্ট ৪৪৩ রান টার্গেট দিয়েছি। ২ উইকেট পড়েছে। কালকের একটা দিন আছে। তিনটা সেশন আছে। আশা করি বোলাররা যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারে, টাইট লেন্থ বজায় রাখতে পারে, তবে ম্যাচটা অবশ্যই আমাদের দিকেই আছে।’
চারদিন শেষ হয়ে গেলেও মিরপুরের উইকেটে এখন পর্যন্ত তেমন টার্ন দেখা যাচ্ছে না। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটিই তুলে ফেলেছিল ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙার পর অবশ্য ২ উইকেট ফেলার স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
এই জুটি বড় হয়ে যাওয়ার পর কি কিছুটা ভয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা? মিরাজ জানালেন, এমন কিছুই হয়নি তাদের। তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে একটা জুটি হতেই পারে, কিন্তু একটা উইকেট গেলে কিন্তু পর পর উইকেট পড়তেই থাকবে, মুশফিক আর রিয়াদ ভাই এটাই বলছিল। আপনারা দেখেছেন যে আজ একটা উইকেটের পর আরেকটা উইকেট পড়েছে। শেষ দিনের উইকেটই এমন। একটা জুটি হবে, ৫০-৬০ রান বা ১০-১৫ ওভারের, কিন্তু যখন একটা উইকেট পড়বে, তখন কিন্তু তিন-চারটা-পাঁচটা উইকেট চলে যাবে।’
পঞ্চম দিনে সব দায়িত্ব এখন স্পিনারদের। তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো বল করছেন। মিরাজ সঙ্গ দিলেও তার মতো ভালো করতে পারছেন না। এই বিষয়টি নিয়ে কি একটু দুশ্চিন্তা আছে?
মিরাজ মনে করেন, ক্রিকেট খেলাটাই এমন। সবসময় এক দুইজনই ভালো করে, বাকিরা শুধু সমর্থন দেয়, ‘তাইজুল ভাই দারুণ বোলিং করছেন, প্রথম টেস্ট থেকেই। তিনি ভালো বোলিং করছেন বলেই উইকেটগুলো ডিজারভ করেন। আমি তার পাশাপাশি সাপোর্ট করছি। এখন দুইজনই যদি ভালো বোলিং করি তাহলে তো ওরা অল্প রানে আউট হয়ে যাবে। দিন শেষে খেলাটা ক্রিকেট, একজন ভালো করবে একজন সাপোর্ট দিবে। তবে কাল একটা ভালো সুযোগ আছে, আমার ও তাইজুল ভাইয়ের।’
এমএমআর/পিআর