পেরেসিচই হিরো, পেরেসিচই ভিলেন
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ভাগ্যটাকে একটুও পায়নি নিজেদের সাথে। ম্যাচের প্রথমার্ধে নেহায়েত কপাল জোরেই ২-১ গোলের লিড নেয় ফ্রান্স। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল দিয়ে সবমিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ জিতে নিল দ্য ব্লুজ’রাই।
ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার ভিলেন ও হিরো ধরলে আসবে একজনেরই নাম, তিনি ইভান পেরেসিচ। প্রথমত ১৮তম মিনিটেই ফ্রান্সকে ম্যাচের প্রথম গোল উপহার দেন মারিও মানজুকিচ। আন্তনিও গ্রিজম্যানের ফ্রিকিক থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন মানজুকিচ।
চলতি আসরে আগের ম্যাচেও পিছিয়ে পড়েই ম্যাচ জিতেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই ম্যাচের ২৮তম মিনিটে গোল ফিরিয়ে দেয় ক্রোয়েশিয়া। ডি বক্সের বাইরে পেরেসিচকে ফাউল করে ফ্রি কিক পায় মদ্রিচ। মদ্রিচের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে ভিদার ছোট পাসে বা-পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ইভান পেরেসিচ।
এর মিনিট সাতেক বাদে এই ইভান পেরেসিচই অবতীর্ণ হন ক্রোয়েশিয়ার ভিলেন রূপে। ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে আক্রমণ করলে ইভান পেরেসিচের হাতে বল লাগলেও রেফারি এড়িয়ে যান। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার আন্তনিও গ্রিজম্যান।
পেরেসিচের গোলে ম্যাচে ফেরা আবার পেরেসিচের গোলেই দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়বার পিছিয়ে যাওয়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তাই এই স্ট্রাইকারকেই বলা যায় ক্রোয়েশিয়ার ভিলেন, ক্রোয়েশিয়ার হিরো!
এসএএস/আরএস