প্রস্তুতি ম্যাচে জয় নিয়েই রাশিয়া যাচ্ছে ব্রাজিল
দীর্ঘদিন পর ব্রাজিলের হয়ে প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন নেইমার। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হওয়া বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে প্রমাণ করলেন কেন তার মূল্য ২২২ মিলিয়ন ইউরো। কয়েকদিন আগে শক্তিশালী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল অস্ট্রিয়া। ভয়ে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া সেই অস্ট্রিয়াকেই রীতিমত ০-৩ গোলে বিধ্বস্ত করলো ব্রাজিল। সেলেসাওদের হয়ে একটি করে গোল করেন হেসুস, নেইমার এবং বার্সেলোনা তারকা কৌতিনহো।
অস্ট্রিয়ার হ্যাপেল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে ব্রাজিল। উইলিয়ান, নেইমার, কৌতিনহো, হেসুসদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী আক্রমণভাগের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রিয়া। বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রাজিলের সম্ভাব্য শক্তিশালী একাদশকেই নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। সমর্থকদের আকাঙ্ক্ষা তিনি পূরণ করান নেইমারকে ৮৪ মিনিট খেলিয়ে।
ম্যাচের ৮ মিনিটে কাসেমিরোর দূরপাল্লার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। ২২ মিনিটে অস্ট্রিয়ার আর্নাত্রভিচ গোলের সুবর্ন সুযোগ পান কিন্তু গোলবারের উপর দিয়ে মারেন এই ওয়েস্ট হ্যাম তারকা।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৯ মিনিট আগে অস্ট্রিয়ার ডিফেন্স ভাঙ্গেন হেসুস। মার্সেলোর দূরপাল্লার শট অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে হেসুসের কাছে গেলে সুন্দরভাবে আড়াআড়ি শটে সেটিকে গোলে পরিণত করেন এই ম্যান সিটি তারকা। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ১৭ ম্যাচে এটি তার ১০ম গোল। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক ব্রাজিল দল। অস্ট্রিয়ার বা-পাশে আলবা থাকার কারণে তাদের রাইট উইং দিয়ে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ব্রাজিল। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে উইলিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে অস্ট্রিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বলটি জালে জড়ান নেইমার।
ইনজুরি থেকে ফিরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেলেন এই পিএসজি তারকা। পুরো ম্যাচেই অসাধারণ খেলেছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সেই ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৫৫ গোল করে রোমারিওর সঙ্গে যুগ্নভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে আসলেন তিনি। তার সামনে এখন শুধুই পেলে ও রোনালদো।
ঐ গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবারও গোল। তবে এবার ব্রাজিলের গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান বার্সেলোনা তারকা কৌতিনহো। অনেকটা নেইমারের গোলের মতই ছিল তার গোলটা।
৭৪ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল কিন্তু কৌতিনহোর দূরপাল্লার শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় তারা। ৮২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ফিরমিনো। ৮৪ মিনিট ঝুঁকি এড়াতে নেইমারকে তুলে ডগলাস কস্তাকে নামান কোচ তিতে। শেষ দিকে আর আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ০-৩ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে রাশিয়া যাচ্ছে নেইমারের ব্রাজিল। বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে নেইমাররা।
আরআর/এমবিআর