বাতিল হলো আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল ম্যাচ
বিশ্বকাপের আগে ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন নিয়ে চারদিকের দুয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছিল আর্জেন্টিনাকে। ফিলিস্তিনিদের উপর দিনের পর দিন নির্মম অত্যাচার করে আসছিল ইসরায়েলরা। এর ভেতরেই জেরুজালেমের মত পবিত্র জায়গায় ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন নিয়ে কম সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়নি মেসির আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে। অবশেষে ইসরায়েরল বিপক্ষে ম্যাচটি বাতিল করে দিল মেসিরা।
মঙ্গলবার বার্সেলোনাতে অনুশীলন করছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। কিন্তু দল যখন মাঠে অনুশীলনে ব্যস্ত তখন মাঠের বাইরে হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমে খেলতে না যাওয়ার প্রতিবাদ করে আসছিল। রক্তের রঙে পুরো অনুশীলন মাঠের আশপাশ রাঙ্গিয়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। সেটা দেখেই ভড়কে যায় আর্জেন্টিনা দল। সঙ্গে সঙ্গে ফুটবল ফেডারেশনকে ব্যাপারটি জানানো হয় এবং মঙ্গলবারই বাতিল করা হয় ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া ম্যাচটি।
মূলত ফিলিস্তিন তথা পুরো বিশ্বেই আর্জেন্টিনার অগণিত সমর্থক বিদ্যমান। তার উপর দলে রয়েছেন মেসির মত তারকা ফুটবলার যার সমর্থক আরো বেশি। জেরুজালেমেও মেসির অনেক ভক্ত রয়েছে। এর আগে মেসিদের জেরুজালেমে খেলতে না যেতে অনুরোধ করেছিলেন ফিলিস্তিনির এক ফুটবলার। ফিলিস্তিন শহরে দিনের পর দিন আন্দোলন চলেই যাচ্ছিল এই ম্যাচকে বাতিল করার জন্য। আর্জেন্টিনাতেও গত মঙ্গলবার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের মুখে ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় এএফএ। উল্লেখ্য যে, এই ম্যাচটি খেললে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারতো আর্জেন্টিনা। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা সবকিছুর উর্ধ্বে। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল করে পুরো বিশ্বের বাহবা পাচ্ছে মেসির আর্জেন্টিনা।
আরআর/এমএস