মোস্তাফিজকে ছেড়ে দিবে মুম্বাই!
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে চলতি আইপিএলে খেলতে নেমেছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সেরা দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে চলতি আসরের গ্রুপ পর্ব শেষে ১৪ ম্যাচে মাত্র ৬ জয় নিয়ে প্রথম পর্ব থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছে মুম্বাই। যার ফলে পরবর্তী মৌসুমে নতুন করে দল গোছানোর কাজে নামতে হবে আইপিএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের।
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টসকিডা’ সেলক্ষ্যে এরই মধ্যে পরবর্তী মৌসুমে যেসব বিদেশি খেলোয়াড়দের বাদ দেয়া উচিত তাদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ মাধ্যমটির মতে আগামী মৌসুমে প্রত্যাশামাফিক ফলাফল পেতে মোস্তাফিজকে বাদ দেয়া উচিত মুম্বাইয়ের।
আইপিএলের গত দুই মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। প্রথমবার সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেও, দ্বিতীয় আসরে বুমেরাং হয়ে যান কাটার মাস্টার। মাত্র ১ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ মেলে তার। তবু তার কাটারের জাদু দেখার আশায় চলতি আসরের নিলামে ২ কোটি ২০ লক্ষ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় মুম্বাই।
কিন্তু মাঠের খেলায় নিজের সেরাটা দিত ব্যর্থ হন মোস্তাফিজ। আইপিএলের ইতিহাসের সেরা দলটির হয়ে মৌসুম শুরুর পর টানা ৬টি ম্যাচেই সুযোগ দেয়া হয় মোস্তাফিজকে। কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ফিজ। ৬ ম্যাচে উইকেট নেন ৭টি। তবে ম্যাচ জেতানো বা দলের জয়ের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেননি ১টি ম্যাচেও। উল্টো মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারেই ২টি ম্যাচে পরাজিত হয় মুম্বাই। ফলে টানা ৭ ম্যাচ তাকে বেঞ্চেই বসিয়ে রাখে মুম্বাই।
তবু তার প্রতি আস্থা রেখে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্লে’অফ টিকিট নিশ্চিত করার ম্যাচে একাদশে ডেকে নেয় রোহিত শর্মার দল। এবারেও আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান খরচ করেন তিনি, পাননি কোন উইকেট। মুম্বাইও হেরে যায় ১১ রানের ব্যবধানে, বাদ পড়ে যায় প্রথম পর্ব থেকেই।
সবমিলিয়ে চলতি আসরের ৭ ম্যাচে মাত্র ৭ উইকেট দখল করেছেন মোস্তাফিজ। এই ৭ ম্যাচে ২৭.৩ ওভার বল রান বিলিয়েছেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ৮ গড়ে। পুরো আসর জুড়েই শর্টবলের মেলা বসিয়েছিলেন তিনি। কাঁধের ইনজুরির কারণে বলের গতি ছিল মাঝামাঝি। এই কম গতি শর্ট লেন্থে করা কাটারগুলো অবলীলায় বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।
তাই মুম্বাইয়ের আগামী মৌসুমের পরিকল্পনায় মোস্তাফিজকে না দেখলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। মোস্তাফিজ ছাড়াও লংকান স্পিনার আকিলা দনঞ্জয়া, কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জেপি ডুমিনিকেও বাদ দেয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি। ডুমিনি ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩৬ রান করেন। মিলনে এবং দনঞ্জয়া কোন ম্যাচ খেলারই সুযোগ পাননি।
এসএএস/আরআইপি