ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ফ্রান্সের হাতে বিশ্বকাপ দেখছেন মারউইক

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ১৮ মে ২০১৮

বিশ্বকাপে যে সকল কোচ দলগুলোর ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন তাদের মধ্যে বার্ট ফন মারউইক অন্যতম। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অনেককে টেক্কাও মেরেছেন। এবারও বিশ্বকাপে থাকছেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে। টানা চারবার এবং সবমিলিয়ে পঞ্চমবারে মত বিশ্বকাপ খেলছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসকে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন এই ডাচ কোচ। গ্রুপ পর্বেও অসাধারণ পারফর্ম করে ফাইনালে টিকিট পেয়েছিল তারা।

সম্প্রতি সৌদি আরবকে ১২ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচিয়ে রাশিয়ার মূল পর্বে খেলার সুযোগ করে দেন তিনি; কিন্তু বাছাইপর্বের পরপরই সরে দাঁড়ান তাদের কোচের পদ থেকে। নভেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব নেন তিনি। বিশ্বকাপে মারউইক অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ডাচ কোচ। সম্প্রতি ফিফা ডটকমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে মারউইকের অস্ট্রেলিয়া দল নিয়ে ভাবনা, বিশ্বকাপের স্মৃতি এবং ফ্রান্সের বিশ্বকাপে জেতা সম্ভাবনার ব্যাপারে...

ফিফা : বিশ্বকাপে একজন কোচের এই টুর্নামেন্টে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা কতটা উপকারে আসে বলে মনে করেন?
মারউইক : আপনি এটি আসলে মুখের কথা দিয়ে প্রদর্শন করতে পারবেন না। আপনার চারিত্রিক বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমেই এটি ফুটে উঠবে। খেলোয়াড়দের অনুভব করতে হবে যে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমার মতে, বিশেষ কিছু ভাববার থেকে এটা খুব সামান্যই প্রভাব ফেলতে পারে।

ফিফা : অস্ট্রেলিয়া দলে এসে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাদের কোন বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার মনে ধরেছে?
মারউইক : মানসিক দিক দিয়ে তারা খুব অনুপ্রাণিত। তারা খুব ভালো শ্রোতাও। প্রথম দিন থেকে খেলোয়াড়দের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা ঈর্শ্বনীয়। মার্চের দশ দিন খুব ভালো কেটেছে আমাদের, যেগুলো আমাদের জন্য উপকারী। এবং কলম্বিয়ার সাথে আমরা প্রথমার্ধে (০-০) যেমনটা খেলেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট।

media

ফিফা : বিশ্বকাপে কোন গুণাবলীগুলো দলের খেলোয়াড়দের ভেতর আনতে চান?
মারউইক : আমি তাদের ভেতর আলাদা করে কিছু আনতে চাচ্ছি না। আমার প্রথম চ্যালেঞ্জই হচ্ছে তাদেরকে একটি শৃঙ্খলার ভেতর নিয়ে আসা এবং এটি যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন কোচের জন্যও খুব সহজ হয়ে যাবে।

ফিফা : নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে না পারার সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কি আলাদা টান অনুভব করছেন?
মারউইক : আমি ইতোমধ্যে অনুভব করা শুরু করেছি। বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয় এটা আরো বৃদ্ধি পাবে। কারণ আমি একাই ডাচ কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে রয়েছি। আমার মনে হয় মরক্কোর প্রতিও অনেকের আগ্রহ থাকা উচিত, কেননা মরক্কো দলে অনেক ডাচ বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় রয়েছে। তারা ভালোও খেলছে অনেক।

ফিফা : অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপটা নিয়ে আপনার মতামত কী? যেখানে ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও পেরুর মত দল রয়েছে!
মারউইক : আমি আপনাকে নতুন কিছু বলবো না। এটা আসলেই অনেক কঠিন গ্রুপ। সম্ভবত বিশ্বকাপের অন্যতম কঠিন গ্রুপ। বিশেষ করে ফ্রান্স; এবং আমরা যখন কলম্বিয়ার বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি দেখেছি তখন মনে হয়েছে তাদের আসলেই অনেকগুলো ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের অনেক বড় সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তারা খুব দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং সৃষ্টিশীলও বটে। তারা শারীরিক দিক দিয়েও শক্তিশালী এবং তাদের দলে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কাইলিয়ান এমবাপে আছে। তাদের অনেকগুলো অস্ত্র আছে কিন্তু এটার মানে এই নয় যে আপনি তাদের বিপক্ষে ফলাফল পাবেন না।

media

অন্য দুই দল সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছি না, কারণ আমরা কেবল আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের দিকেই নজর রাখছি। লক্ষ্যই হলো প্রথম রাউন্ডে টিকে থাকা এবং আমার মনে হয় আমাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। অন্যথায় আমি কোচিং ছেড়ে দিব।

ফিফা : জীবনে বেড়ে ওঠার সময় কোন নির্দিষ্ট বিশ্বকাপ কী প্রভাব ফেলেছিল?
মারউইক : আমি ইংল্যান্ডে হওয়া ১৯৬৬ বিশ্বকাপ মনে করতে পারি। ১৯৭৪ সালে জার্মানি বিশ্বকাপটি আমাদের জন্য একটু বিশেষ কিছু। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে আমি দলের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলাম; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি ইনজুরড হই।

ফিফা : ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের কথা মনে উঠলেই কোন আবেগঘণ জিনিসটা প্রথমে কাজ করে যেখানে আপনার নেতৃত্বে নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল?
মারউইক : এটা আসলেই অসাধারণ অভিজ্ঞতা এবং আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। সাধারণত আপনি যখন বিশ্বকাপে টিকে থাকবেন তখন সামনের দিকে এমনিতেই যেতে থাকবেন। আমরা প্রত্যেক ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুচ্ছিলাম এবং আপনিও এটা বুঝতে পারবেন। আমাদের বিপক্ষ দলের এক কোচ আমাকে বলেছিলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা তাদেরকে হারাতে পারবো না’ এবং আমার দলের খেলোয়াড়দের ভেতর বিশ্বাস ছিল আমরা কখনো হারবো না। আমরা আসলেই একটা দল হিসেবে খেলেছিলাম। এবং মাঝে মাঝে সেরা খেলোয়াড়রা সেরা ট্রফিটা জয় করতে পারে না কিন্তু সেরা দলটা পারে।

আরআর/আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন