এই বিশ্বকাপ আমারই হতে হবে : নেইমার
সেই ২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরা। যে দলটি সর্বাধিক পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে, সেই দলটি ১৬ বছর ধরে শিরোপা-ছাড়া। ব্যাপারটা কেমন দেখায়? এবার সবার আগে বাছাইপর্ব পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে ব্রাজিল, বরাবরের মতো টুর্নামেন্টের ফেবারিট হিসেবে।
ব্রাজিলের হেক্সা-জয়ের স্বপ্নটা যার কাঁধে, সেই নেইমার তো শিরোপা জয়ের বিকল্প কিছু ভাবছেনই না। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ফরোয়ার্ড বলছেন, এই বিশ্বকাপটা তারই হতে হবে।
গতবার এই নেইমারের চোটের পরই ভেঙে গিয়েছিল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। দলের সেরা তারকাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা।
এবার আরেকটি বিশ্বকাপের আগে পা ভেঙে বসেন নেইমার। স্বস্তি একটাই, দুর্ঘটনাটা ঘটেছে টুর্নামেন্ট শুরুর মাস তিনেক আগে। অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই ফিট নেইমার, নিজেকে গুছিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে আলো ছড়ানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
নেইমারের মতে, নিজেকে প্রমাণের সবচেয়ে বড় মঞ্চ এই বিশ্বকাপই। এবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কাপটা উঁচু করে ধরবেন, সেই স্বপ্নটা মনে বুনে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তিনি বলেন, ‘ফুটবল খেলাটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। মাঠের মধ্যে থাকাটা আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যাম্পিয়নশিপ হলো বিশ্বকাপ। আমি শুধু খেলতে চাই, হতে চাই চ্যাম্পিয়ন। এই কাপটা আমার হতেই হবে।’
এবারের বিশ্বকাপে 'ই' গ্রুপে পড়েছে ব্রাজিল। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে সুইজারল্যান্ড, কোস্টা রিকা আর সার্বিয়া। টুর্নামেন্টে নেইমারদের প্রথম ম্যাচ ১৮ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
চোট আর অস্ত্রোপচারের কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে মাঠের বাইরে আছেন নেইমার। এখন শরীরের অবস্থাটা কি? ব্রাজিলিয়ান তারকা জানালেন, নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন ধীরে ধীরে, ‘আমি বল নিয়ে ইতোমধ্যেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছি। বেশ ভালো অনুভব করছি,স্বস্তিও। একটা ভয় ছিল, তবে আমি ধীরে ধীরে ফিরে আসছি।’
ব্রাজিল ভক্তদের দুশ্চিন্তা তবে কিছুটা কমলো!
এমএমআর/আরআইপি