সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কলকাতাকে হারালো হায়দরাবাদ
বল হাতে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২১ রানে ২ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতেও ২১ বলে ২৭ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে একজন অলরাউন্ডারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কি আশা করা যায়! এমন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটি উঠেনি সাকিব আল হাসানের হাতে। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে যে তিনি বলতে গেলে একাই জিতিয়ে দিয়েছেন, সেই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করবেন খুব কম লোক।
সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়েই ৮ উইকেটে ১৩৮ রানের বেশি এগোতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল কলকাতা। রবিন উথাপ্পা (৩) অল্প রানে ফিরলেও একটা সময় ২ উইকেটে ৭৯ রান নিয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল দীনেশ কার্তিকের দল। এরপরই সাকিবের আঘাত।
ভয়ংকর হওয়ার আগেই সুনীল নারিনকে (৯) কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ বানান সাকিব। পরের ওভারে এসে ফিরিয়ে দেন হাত খুলে খেলতে থাকা ক্রিস লিনকে। ৩৪ বলে ৪৯ রান করা কলকাতার এই ওপেনারকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান সাকিব।
এরপর শুভমান গিলের ক্যাচটিও নিয়েছেন সাকিব। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কলকাতা। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ২৭ বলে ২৯ রান না করলে পুঁজিটা আরও ছোটই হতো তাদের।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে একটা সময়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদও। তখনই ত্রাতার ভূমিকায় সাকিব, এবার ব্যাট হাতে। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। কলকাতার হাত থেকে ম্যাচটা ছুটে যায় তাতেই।
২১ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রান করে সাকিব যখন পীযুশ চাওলার বলে বোল্ড হয়েছেন, ততক্ষণে জয়টা বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে হায়দরাবাদের। এরপর অবশ্য উইলিয়ামসনও (৪৪ বলে ৫০) আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরের কাজটুকু ভালোভাবেই শেষ করেছেন ইউসুফ পাঠান আর দীপক হুদা। পাঠান মাত্র ৭ বলে করেন অপরাজিত ১৭, হুদা ৯ বলে ৫ রান।
এমএমআর/এমএস