টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হারলো এ দল
জাতীয় দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হল টপ অর্ডারের নিয়মিত রান না পাওয়া। আর শনিবার ‘এ’ দলের ব্যাটিং লাইন আপেও একই সমস্যা দেখা গেছে। ব্যর্থ হয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস, মার্শাল আইয়্যুব ও মমিনুল হকের মত শুরুর ব্যাটাররা। তাতে করে তিন ম্যাচের আন অফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দল।
ফতুল্লায় টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে দারুণ শুরু পায় যায় সফরকারীরা। ব্রায়ান চ্যারি ও রেজিস চাকাভার উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৩ রান। চ্যারি আউট হন ব্যক্তিগত ৩৫(৫২) রানে। এরপর জুবায়ের ও মোসাদ্দেক দ্রুত আরোও তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরালে ১২৫ রানেই চার উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে পঞ্চম উইকেটে সিবান্দার সঙ্গে ১২০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন চাকাভা। তার শতক ও অধিনায়ক সিবান্দার অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। ম্যাচসেরা চাকাভা ১৩ চার ও ৩ ছয়ে ১৩২(১৪৪) রান করে আউট হন।
এছাড়াও সিবান্দার ব্যাট থেকে আসে ৫২(৬৭) রান। বাংলাদেশের পক্ষে দুই স্পিনার জুবায়ের হোসেন ও মমিনুল হক যথাক্রমে ৫৩ ও ৪৭ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন। অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রায় দেড় বছর পর মাঠে ফিরেই আবার ইনজুরিতে পড়েন পেসার আবুল হোসেন রাজু। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের মাথায় ২.৫ ওভার বল করেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে এ উঠতিকে।
এদিকে মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই খেই হারায় টাইগার ব্যাটিং লাইন আপ। দলীয় ৯৯ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন শুরুর চার ব্যাটার।এদের মধ্যে কেবল ওপেনার সৌম্য সরকারই দু অঙ্কের স্কোরের দেখা পান। ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৬(৮০)রান করে আউট হন তিনি। নাফীস,মার্শাল ও মমিনুল তিন জনই ২ রান করে আউট হন। এরপর পঞ্চম উইকেটে নাঈম-মোসাদ্দেক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান। তবে দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় নাঈম ব্যক্তিগত ৬৬ রানে আউট হওয়ার পর দুই রানের ব্যবধানে নুরুল হাসান সোহানও (২) আউট হলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
অবশ্য অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন ও ইলিয়াস সানির ব্যাটে চড়ে তখনও জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল স্বাগতিকরা। শেষ তিন ওভারে চার উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৩১ রানের।তবে ৪৮তম ওভারের শেষ বলে ইলিয়াস সানি আউট হওয়ার পর আর বেশিক্ষণ লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারেনি টাইগাররা। শেষ ওভারে এক উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৮ রানের।
ইলিয়াস সানি ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪২(৩০) রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে আউট হন। উঠতি অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪৯(৭০) রান।জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৬ ওয়ানডে খেলা লেগ স্পিনার তাফাজওয়া কামুংগোজি ১০ ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন।এছাড়াও ৩৫ ওয়ানডে খেলা মুপারিয়া ৩ ও উঠতি পেসার মসুকা ২ উইকেট নেন।
দুদলের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার।