কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিংয়েই প্রত্যাশা
কমনওয়েলথ গেমসে যাদের নিয়ে সম্ভাবনা, সেই শ্যুটাররা সবার আগে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছেন। দেশটির গোলকোস্টে ৪ থেকে ১৫ এপ্রিল বসবে কমনওয়েলথ গেমসের ২১ তম আসর। বাংলাদেশ এবার অংশ নিচ্ছে ৬ ডিসিপ্লিনে। বাকি ৫ ডিসিপ্লিন অ্যাথলেটিক, সুইমিং, ভারোত্তোলন, বক্সিং ও কুস্তি।
রোববার বিওএ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গেমসে অংশগ্রহণ ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন কর্মকর্তারা। তবে প্রত্যাশা যা সবই শ্যুটিংকে ঘিরে। এ ডিসিপ্লিন থেকেই বাংলাদেশ পদক পেলে পেতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও সহ-সভাপতি এবং কন্টিনজেন্টের সেফ দ্য মিশন নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর মুখে ছিল শ্যুটিং নিয়ে প্রত্যাশার কথা।
খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা মিলিয়ে ৪১ সদস্যের দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের সবচেয়ে বড় দল শ্যুটিংয়ের। ১৩ শ্যুটারের সঙ্গে আছেন ৩ কোচ ও ২ অফিসিয়াল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ সদস্যের দল যাবে ভারোত্তোলনে। দলে ৫ ভারোত্তোলকের সঙ্গে যাচ্ছেন এক কোচ।
সম্ভাবনা আছে বলেই বড় একটা দলই পাঠানো হয়েছে শ্যুটিংয়ের। ১৩ জন শ্যুটার অংশ নেবেন ৮ ইভেন্টে। কন্টিনজেন্টের সেফ দ্য মিশন নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনেরও সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘শ্যুটিং দল যাওয়ার সময় বলেছি, স্বর্ণ জিতলে ১০ লাখ, রৌপ্য জিতলে ৭ লাখ ও ব্রোঞ্জ জিতলে ৩ লাখ টাকা করে দেয়া হবে শ্যুটারদের।’
অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা দেয়া আছে আগেরই। আন্তর্জাতিক গেমসে স্বর্ণ জিতলে ১০ লাখ, রৌপ্য জিতলে ৫ লাখ ও ব্রোঞ্জ জিতলে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। রোববার সেটা মনে করিয়ে দিলেন বিওএর মহাসচিব।
শনিবার সবার আগে শ্যুটিং দল গেছে গোলকোস্টে। অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা যেতে শুরু করবেন ৩১ মার্চ থেকে। গেমসে বাংলাদেশের খেলা শুরু হবে ৫ এপ্রিল। ওই দিন সুইমিং, বক্সিং ও ভারোত্তোলনে অংশ নেবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট
অ্যাথলেটিক : মেজবাহ আহমেদ, শিরিন আক্তার, খুরশিদা খাতুন।
বক্সিং : মো. রবিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী আব্দুল মান্নান।
ভারোত্তোলন : বিদ্যুৎ কুমার রায়, শিমুল কান্তি সিংহ, ফুলপতি চাকমা, মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, জহুরা খাতুন নিশা, ফাহিমা আক্তার ময়না।
সুইমিং : রেজাউল হোসেন বাদশা, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহমুদুন নবী নাহিদ, নাজমা খাতুন।
শ্যুটিং : আবদুল্লাহ হেল বাকী, শোভন চৌধুরী, রিসালাতুল ইসলাম, রাব্বি হাসান মুন্না, শাকিল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আরমিন আশা, আরদিনা ফেরদৌস, আমিরা হামিদ, সৈয়দা আতকিয়া হাসান, জাকিয়া সুলতানা, সুরাইয়া আক্তার, শারমীন শিল্পা, ক্ল্যাবসজন ক্রিস্টেনসেন, মারকো সকিফ, হোসনে আরা বেগম, গোলাম সফিউদ্দিন খান, ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।
কুস্তি : আল আমজাদ, শিরিন সুলতানা ও তাবিউর রহমান পালোয়ান।
সেফ দ্য মিশন : নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
জেনারেল টিম ম্যানেজার: ফখরুদ্দিন হায়দার।
টিম ডাক্তার: ডা. মো. শফিকুর রহমান।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা : মো. হাবিবুর রহমান।
আরআই/এমএমআর/আরআইপি