ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৫

চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেছে টাইগাররা। বুধবার চার উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন সাকিব-মুশফিক।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম(১৬) ও সাকিব আল হাসান (১) রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে বুধবার দু`দফা বৃষ্টির কারণে ২৫ ওভার আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা। ফলে ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।

দুপুর ৩টা ১২ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন । বৃষ্টি থামার পর বিকাল ৪টার দিকে আবারও দিনের বাকি সময়ের খেলা শুরু হয়। মাত্র এক বল হওয়ার পর পুনরায় বিকেল চারটার দিকে দ্বিতীয়বার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি হানা দেওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে যায় দ্বিতীয় দিনের বাকি খেলা।

বুধবার ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করে টাইগার দুই ওপেনার তামিম-ইমরুল। কিন্তু ভন জিলের লেগস্ট্যাম্পের বাইরের বলে টাইমিং মিস করে ২৬ রানে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। এরপর সিমন হার্মারের বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে ৬ রানে ফিরে যান স্বাগতিকদের টেস্ট ভারসা মুমিনুল হক।

মুমিনুলের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহর সাথে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ সামলে নেন। তবে ডিন এলগারের বলে সুইপ করতে যেয়ে ৫৭ রানে বোল্ড হন সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশত। আর বৃষ্টির ঠিক আগ মুহূর্তে ফিলিন্ডারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (৬৭)। আউট হওয়ার আগে তিনিও ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশত পূরণ করেন।

মঙ্গলবার মুস্তাফিজুর রহমান এবং জুবায়ের হোসেনের বোলিং তোপে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ একটু এলোমেলো থাকলেও দ্বিতীয় সেশন থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ২৪৮ রানেই গুটিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিধর দলকে। বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া জুবায়ের হোসেন পান ৩টি উইকেট। প্রোটিয়াদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন টেম্বা বাভুবা। ১০৮ বলে ৫টি চারে ৫৪ রান করেন তিনি।

আরটি/এআরএস/পিআর