ছেলের নাম নিয়ে একটু দ্বিধায় মুশফিক
একেই বলে ভাগ্য। দুই টেস্টের মধ্যে যে দুটি দিন সময় পেলেন, সেটাই বেশ কাজে লেগে গেলো। সন্তান ভূমিষ্ট করার সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পারলেন মুশফিকুর রহীম। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ করে আসার পরদিনই প্রথম সন্তানের বাবা হলেন জাতীয় দলের সিনিয়র এ ক্রিকেটার। পরদিনই স্ত্রী এবং নবজাতককে রেখে ছুটে আসতে হলো মাঠে। কারণ, আর একদিন পরই যে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার মোকাবেলা করার জন্য নামতে হবে মাঠে!
সোমবারই সকাল সাড়ে ৯টায় পৃথিবীর আলো প্রথম দেখে মুশফিকের পুত্র সন্তান। এ খবর প্রথমে ফেসবুকে জানিয়ে দেন মুশফিকের বাবা। পরে নিজেই ছেলেকে কোলে নিয়ে তোলা ছবি নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন মুশফিক। আজ মিরপুরে আসার পর সতীর্থ খেলোয়াড়, বোর্ড কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং মিডিয়াকর্মীদেরকেও মিষ্টিমুখ করিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন কক্ষেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে প্রবেশ করেন মুশফিক। সবাইকে অনুরোধ করেছেন মিষ্টি খাওয়ার জন্য। চেহারা দেখেই বোঝা গেছে, ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। চোখে-মুখে আনন্দ। পুরো সংবাদ সম্মেলনজুড়েই সেই আনন্দের রেখা ছড়িয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টে নিজে খেলেছেন ভালো। সেঞ্চুরিটা প্রায় করেই ফেলেছিলেন প্রথম ইনিংসে। ম্যাচটাও হারতে হারতে ড্র করেছে টিম বাংলাদেশ। এমনিতেই ফুরফুরে মেজাজে থাকার কথা। সঙ্গে ছেলের বাবা হওয়ার অনুভূতি, স্বর্গীয় আনন্দই তো ছুঁয়ে যাওয়ার কথা মুশফিককে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তাই তার কাছে জানতে চাওয়া হলো প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতির কথা। জবাবে মুশফিক বললেন, ‘আলহামদুল্লিাহ। খুব ভালো লাগছে। বাবা হওয়ার অনুভূতিটা আসলে কথা বলে বোঝানো যাবে না। সবাই দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ থাকে এবং আমার সহধর্মিনী সেও যেন সুস্থ থাকে। সে যাতে মানুষের মতো মানুষ হয়, আমি দেশবাসীর কাছে সেই দোয়া চাই।’
ছেলের নাম কী রাখছেন? জানতে চাইলে তারা যে এখনও এ বিষয়ে কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন সেটাই জানালেন। মুশফিক বলেন, ‘ছেলের নাম নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। সাত দিনের মধ্যে আকিকা হবে। তখন নাম রাখা হবে। আর আপনাদের জন্য মিষ্টি আছে। দয়া করে খেয়ে যাবেন।’
আইএইচএস/এমএস