ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ওপেনারদের হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৫

উড়ন্ত সূচনার পর দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত এডি লীর বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার। আউট হবার আগে ২১ বলে ছয়টি চার এবং একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি।

এর আগে ওয়েন পারনেলের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল (১৩)। তবে তামিম ও সৌম্যর ব্যাটে ভালো সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট জুটিতে ৪৬ রান করেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। প্রথম টি২০ ম্যাচে অতিরিক্ত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচে দেখে শুনে খেলা শুরু করে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান। সাকিব আল হাসান ৪ এবং মুশফিকুর রহিম ১ রান নিয়ে ব্যাট করছে।

এর আগে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং কুইন্টন ডি ককের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলার শুরু থেকে মারমুখী মেজাজে খেলতে থাকেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং কুইন্টন ডি কক। প্রথম উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান ৯৫ রান করেন। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দেড়শত রান পার করে সফরকারীরা।

বাংলাদেশ দলের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন আরাফাত সানি। কককে মিডঅনে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচে পরিনত করে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন তিনি। তবে আউট হবার আগে নিজের কাজটি করে যান এই প্রোটিয়া ওপেনার। ৩১ বলে চারটি চারে এবং দুটি ছক্কায় ৪৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।

এরপর বাংলাদেশ দলের পক্ষে জোড়া আঘাত হানেন নাসির হোসেন। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভবনা জাগিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। জেপি ডুমিনি (৬) তার বল সুইপ করতে গেলে কানায় লেগে শুন্যে উঠে যায়। সে বলে তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যায় হয়নি সাকিব আল হাসানের।

নাসিরের পরের বল ঠিক ভাবে খেলতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। কানায় লেগে কিপার মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ৩৪ বলে ছয়টি চার মেরে ৪০ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

১৮তম ওভারে বাংলাদেশের নতুন পোস্টার বয় মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান আগের ম্যাচে অর্ধশত করা অধিনায়ক ডু প্লেসিসকে (১৬)। ব্যাটে লেগে শুন্যে উঠে গেলে সেই বল সহজেই তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।

শেষদিকে রিলে রুশোকে নিয়ে ইনিংসের বাকি কাজ করেন ডেভিড মিলার। মিলার দুইটি চার এবং একটি ছক্কায় করেন ৩০ রান। রুশো করেন ১৬ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে নাসির ২৬ রানে দুইটি উইকেট পান। এছাড়া সানি এবং মুস্তাফিজুর একটি করে উইকেট নেন।

আরটি/এমআর/পিআর