ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ভারতের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন প্রতিপক্ষ : ইমরুল

প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৫

ভারতের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ অনেক বেশি কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। তার মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রুত গতির বোলারদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।

শুক্রবার ফতুল্লার খানসাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামে একমাত্র টি-২০ প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের এমন কথাই বলেন ইমরুল। ভারতের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের গতি অনেক বেশি বলে জানান তিনি। বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা একটু বেশি নিখুঁত ভারতীয় বোলারদের চেয়ে। ওরা জানে কোন জায়গায় বোলিং করতে হবে। কোন জায়গায় বোলিং করলে উইকেট পাওয়া যাবে, রান চেক দেয়া যাবে।’

তবে প্রতিপক্ষ যেমনই হোক না কেন নিজেদের নিয়ে আশাবাদী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বর্তমান সময়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ফর্মে রয়েছেন। তাই একটু সময় নিয়ে খেললে তাদের সামলানো তেমন কঠিন হবে না জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়ে একটু সময় নিলেই মানিয়ে নিতে পারবে। আমার মনে হয় বড় কোনো সমস্যা হবে না।’

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব দলেই বোলিং আক্রমন ভালো বলে মনে করেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি তারকা। এর আগেও বাংলাদেশ বড় বড় দলের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে ভালো খেলেছে। এবারো ব্যতিক্রম হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা দলেরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং আক্রমণ ভালো থাকে। এই চ্যালেঞ্জ সব সময়ই থাকে। বাংলাদেশ দল এই চ্যালেঞ্জ ওভারকাম করেছে। নতুন এই চ্যালেঞ্জটাও বাংলাদেশ ওভারকাম করবে।’

মাঠে দলের সতীর্থদের একটু সময় নিয়ে খেলার পরামর্শ দেন এই তারকা। এছাড়াও মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকতে বলেন তিনি। তার বিশ্বাস বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এই সিরিজেও ভালো খেলবে। সাম্প্রতিক সময়ের সাফল্যেই দলের ওপর এমন বিশ্বাস বলে জানান তিনি।

ইমরুল বলেন, ক্রিকেট মেন্টাল গেম। সবাই যদি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকতে পারে তাহলেই আমাদের জন্য ভালো হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা খেলছে তারাই প্রত্যেকটা দলের বিপক্ষেই খেলছে। এটা এমন বড় কিছু না। আমাদের বাংলাদেশ দল এখন বদলে গেছে। সবাই ভালো খেলছে। আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো কিছুই হবে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

আরটি/বিএ/আরআই