সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পা রাখলো মেসির আর্জেন্টিনা। শনিবার রাত ১০টায় ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় মুখোমুখি হয় এ দু’দল। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন গঞ্জালো হিগুয়েন।
ব্রাজিলিয়ার স্তাদিও নাসিওনালে তৃতীয় মিনিটে বল পেয়েই আর্জেন্টিনার প্রথম আক্রমণের সূচনা করেন লিওনেল মেসি। অষ্টম মিনিটে মাঝমাঠে বল পান মেসি। বল পায়ে আঠার মতো রেখে বেলজিয়ামের দুই খেলোয়াড়কে এড়িয়ে আনহেল দি মারিয়াকে বল দেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার বল বাড়িয়েছিলেন ডানে সাবালেতার দিকে। কিন্তু বল বেলজিয়ামের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে যায় হিগুয়াইনের কাছে। প্রথম ছোঁয়াতেই বাঁ পোস্টে ডান পায়ের হাফভলি ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না অন্য পোস্টে থাকা থিবো কোর্তোয়ার।
লিওনেল মেসির পাস থেকে বল পেয়ে হিগুয়াইনের দিকে বাড়ান ডি মারিয়া। ডি বক্সের ভিতরে উড়ন্ত বলে ডানপায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই স্ট্রাইকার।
২৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় বেলজিয়াম। কেভিন ডি ব্র“ইন জোরালো শট কোনোমতে ঠেকান সের্হিও রোমেরো। দুই মিনিট পর মাঝ মাঠ থেকে মেসির অসাধারণ এক পাস থেকে সুযোগ পান দি মারিয়া। ডি বক্সে ঢুকে শট নিলেও সঙ্গে লেগে থাকা ভিনসেন্ট কম্পানি ঠেকিয়ে দেন।
৩৯তম মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মেসির ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পর সুযোগ আসে বেলজিয়ামের সামনেও। ইয়ান ভার্টনেনের ক্রস থেকে কেভিন মিরালেস হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
৫১তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে হিগুয়াইনের শট বেলজিয়ামের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। একটু পরে এসেকিয়েল লাভেস্সির ক্রস ডি বক্সে কোনো সতীর্থকে খুঁজে পায়নি। চার মিনিট পর হিগুয়াইনকে হতাশ করে ক্রসবার। অনেকটা দৌঁড়ে কম্পানির দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে বেলজিয়ামের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন হিগুয়াইন। সামনে ছিলেন কেবল কোর্তোয়া। তাকে পরাস্ত করতে পারলেও বল ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে গেলে হতাশায় পুড়তে হয় নাপোলি স্ট্রাইকারকে।