মাঠের বাহিরে ছড়াচ্ছে অ্যাশেজের উত্তাপ
অ্যাশেজ মানেই মাঠের ভিতর-বাহিরে লড়াই। এই লড়াইয়ের বাকি আর মাত্র ছয় দিন। কাজেই উত্তেজনাটাও একটু তীব্র। ৮ জুলাই কার্ডিফে অনুষ্ঠেয় দুই দলের প্রথম টেস্টের জন্য ১৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। গণমাধ্যমে আলোচনার হট টপিক অ্যাশেজ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। দুই দেশের গণমাধ্যম আকার ইঙ্গিতে অথবা প্রকাশ্যে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করছে।
শুরুটা সেই ১৮৮২ সালে । ইংল্যান্ডের মাটিতে সেদিন প্রথম টেস্ট জিতেছিলো অজিরা। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য স্পোর্টিং টাইমস এই খেলাকে বলেছিলো ইংলিশ ক্রিকেটের মৃত্যু। অনেক সময় গড়িয়েছে কিন্তু উত্তেজনায় এখনো কোনো ভাটা পড়েনি। এ পর্যন্ত ৫-টেস্ট ম্যাচের সেই অ্যাশেজ সিরিজ হয়েছে ৬৮ বার। ফলাফল-অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩২, আর ইংল্যান্ড ৩১টিতে। ৫টিতে ড্র। ফলাফলই বলে দেয়, লড়াইটা বড়।
ঘরের মাটিতে অ্যাশেজ মিশনের প্রথম টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের ইংল্যান্ড স্কোয়াডটি মোটামুটি অপরিবর্তিতই আছে। তবে ক্রিস জর্ডান ও লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের জায়গায় দলে জায়গা পেয়েছেন আদিল রশিদ ও স্টিভেন ফিন। নতুন রূপের ইংল্যান্ড, অনেকটা তারুণ্য নির্ভর দলই সাঁজিয়েছে। স্কোয়াডের সাতজন ক্রিকেটার এবারই প্রথম অ্যাশেজ স্বাদ পেতে যাচ্ছেন।
তবে থ্রি লায়ন্সদের দলে আছে সাত বার অ্যাশেজ খেলা ইয়ান বেল ও ছয়বার খেলা অ্যালেস্টার কুক। পাশাপাশি ঘরের মাঠে সদ্যই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে কুকদের। বৃটিশ গণমাধ্যমও বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড দলের প্রশংসায়। অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর ইংল্যান্ডের নতুন কোচ ট্রেভর বেলিসও।
তবে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাও। আছে ব্যাটিং-বোলিংয়ে পরিপূর্ণতা। পাশাপাশি অ্যাশেজের শেষ ট্রফিটা অজিদেরই। তাই নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর পর ইংল্যান্ডের গণমাধ্যমের বাড়তি প্রচারকে এবার বাড়াবাড়িই বললেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হ্যাডিন।
এসকেডি/পিআর