আজমলকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিলেন মুরালিধরন
এই মুহূর্তে কোনো ব্যক্তিই সঠিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তানি অফ স্পিনার সাঈদ আজমলের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে পারবে না। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর হয়তোবা আজমল একটি রাতও ঠিকমত ঘুমাতে পারেননি।
টেস্ট ক্রিকেটে সবেচেয়ে বেশি উইকেটশিকারি শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন প্রায় ২০ বছর আগে ঠিক এমনই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। সে সময়ের তরুণ মুরালি কেবল সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা শুরুর প্রাক্কালেই এমন ধাক্কা খেয়েছিলেন।
দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে বার বার এই স্পিনারকে ‘চাকার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। যা তার দেশ মোটেই ভালো চোখে নেয়নি। পুরো সিরিজেই মুরালিকে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে এবং ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর পরো দলই মুরালির পাশে দাঁড়িয়েছে।
নিজের বোলিং অ্যাকশনের জন্য বার বার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন মুরলি। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি ‘দুসরা’র কারণে ২০০৪ সালে তাকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। কিন্তু কো কিছুই তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। তাই মুরালির কাছ থেকে আজমল অবশ্যই শিক্ষা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তান গ্রেট জাভেদ মিঁয়াদাদ ।
মুরালির মতে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা নির্ভর করছে আজমলের নিজের উপর। কেননা এই কঠিন অবস্থা সে কিভাবে মোকাবেলা করবে তার উপর।
ভারতীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুরলিধরন বলেন, ‘তিনি এটা কিভাবে মোকাবেলা করবে কিংবা করা উচিত সেটা বলা কঠিন। কারণ এটা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিত্বের ওপর, হতে পারে দীর্ঘ সময় আপনাকে একাই এটা মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং মোকাবেলা করার জন্য আপনি মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী তার ওপর। মানসিকভাবে শক্তিশালী হলে আপনি ঘুরে দাঁড়াবেন, দুর্বল হলে আপনি শেষ।’