খুলনাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল ঢাকা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডাইনামাইটস প্রথম ম্যাচে যেন ছিলই না। এক অচেনা ঢাকা নবাগত সিলেট সিক্সার্সের কাছে নাকুনি-চুবুনি খেয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেই ঢাকা। খুলনা টাইটানসকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ৬৫ রানে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে এভিন লুইস আর ক্যামেরুন দেলপোর্তের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তারা তুলেছিল ৭ উইকেটে ২০২ রান। যা তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা টাইটান্স। ঢাকার পাহাড় সমান রান তাড়া করতে গিয়ে খুলনার কোনো ব্যাটসম্যানই তেমন একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। আর বিপিএলের এবারের আসরে খুলনাই প্রথম দল যারা পুরো ২০ ওভার খেলার আগে অলআউট হয়ে গেল।
২০৩ রানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারান খুলনা। আবু হায়দারের বলে কাইরন পোলার্ড ক্যাচ ধরে সাজঘরে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকে। খুলনার তুরপের তাস ধরা হচ্ছিল ব্রাথওয়েটকে। সেই ব্রাথওয়েটকে পরের ওভারেই এলবির ফাঁদে ফেলে সাকিব। ফলে শূন্য রানে ব্রাথওয়েট ফিরে গেলে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা।
খুলনার আরেক ওপেনার ওয়ালটন কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকেও ৩০ রানে ফেরান সাকিব। অবশ্য একটি ছয় ও পাঁচটি চার মারেন। ওয়ালটন ফিরে গেলে রুসো হাল ধরার চেষ্টা করে। সে ২ চার ও এক ছয়ের মারে ২৩ রান করে মোহাম্মদ শহীদের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যায়। তবে খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন আর্চার।
ঢাকার হয়ে একাই তিনটি উইকেট নিয়ে খুলনার ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া সাকিব, নারিন ও খালিদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন। আর মোহাম্মদ শহীদ পেয়েছেন একটি উইকেট।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে ৩১ বলে ৬৪ রান করা দেলপোর্তের হাতে। আর এক্সাইটিং প্লেয়ারের পুরুস্কার পেয়েছেন এভিন লুইস।
এর আগে টস হেরে ঢাকার হয়ে ওপেন করতে আসেন সাঙ্গাকারা ও এভিন লুইস। ২০ রান করে সাঙ্গাকারা আউট হলেও তার এ ছোট ইনিংসটিতেও ছিল এক ছয় ও ২ চারের মার। বল খরচ করেছে মাত্র ১২টি।
সাঙ্গাকারা আউট হলে উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন দেলপোর্তে। তাকে সঙ্গে নিয়ে আরও বেশি রেগে ওঠেন ক্যারিবীয় হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। আর তার চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দেলপোর্ত। একের পর এক চার-ছয়ের ফুলঝুড়ি ছুটাতে থাকেন তারা দুজন। দুজনে মিলে করেন ১১৬ রানের মারকুটে এক জুটি।
এভিন লুইস যখন ৪০ বলে ৬৬ রান করে আউট হন তখন ঢাকার রান ১৫৪। তার এ বিধ্বংসী ইনিংসটি ছিল ৭ চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার মার। এরপরই ফিরে যান আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান দেলপোর্ত। আউট হবার আগে ৫ ছয় ও ৪ চারে ৩১ বলে ৬৪ রান করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিয়ে যান।
এ দুই ব্যাটসম্যান আউট হবার পরই মূলত ঢাকার রানের গতি কমে যায়। এমন না হলে আজ হয়ত দলীয় সর্বোচ্চ রানের তাদের নিজেদের রেকর্ডটাই ভাঙতে পারত। তবে এর আগে ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২০২ রান করেছিল ঢাকা। যেটি বিপিএলের সপ্তম সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ ২১৭ রেকর্ডটাও ঢাকারই।
এমআরএম/এমএএন