ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত জয়

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

দুর্দান্ত জয়ে দশম এশিয়া কাপ হকির সুপার ফোর শুরু করলো মালয়েশিয়া। বুধবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ৩-২ গোলে হারিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে। মালয়েশিয়ার গোল করেছেন রহিম রাজি, শাহরিল সাবাহ ও সারি ফিতরি। পাকিস্তানের গোল করেছেন মোহাম্মদ উমর ভাট ও মোহাম্মদ ইয়াকুব।
এশিয়া কাপের আগে ৯ আসরে মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য একবার তৃতীয় হওয়া। তবে এবার দলটি যে অন্যতম ফেবারিট হয়েই ঢাকা এসেছে তার প্রমান তারা দিয়েছে গ্রুপ পর্বে। চারবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই তারা উঠেছে শিরোপা নির্ধারণী পর্ব সুপার ফোরে।

পাকিস্তানকে হারিয়ে মালয়েশিয়া দশম এশিয়া কাপের শিরোপার দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলো নিজেদের। এ জয়ে মালয়েশিয়া যেমন এক কদম এগিয়ে রইলো ফাইনালের দিকে। পাকিস্তানের অবস্থা বিপরীত-ধূসর হয়ে গেলো তাদের শিরোপা পনুরুদ্ধারের স্বপ্ন।

ম্যাচটা যেভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান তাতে দলটির কোনো সমর্থকই ভাবতে পারেনি তাদের হতাশ হয়ে ফিরতে হবে। শুরুর বাঁশি বাজার পরপরই মালয়েশিয়ার জালে বল পাঠিয়ে পাকিস্তানের গোল-আনন্দ। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়েই মোহাম্মদ উমর ভাটের বিস্বস্ত স্টিক এগিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। ম্যাচে ফিরতে মালয়েশিয়া সময় নিয়েছে মাত্র ১০ মিনিট।

পেনাল্টি কর্নার থেকে রহিম রাজি সমতা এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন হাসান সরদারদের উত্তরসূরীদের। সে চ্যালেঞ্জ আর নিতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯ মিনিটে মোহাম্মদ ইয়াকুবের ফিল্ড গোলে পাকিস্তান দ্বিতীয়বার এগিয়ে গিয়েও মাঠ ছাড়ে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হার নিয়ে।

মালয়েশিয়া ম্যাচে ফেরে বিরতির আগেই। ২৫ মিনিটে শাহরিল সাবার গোল ম্যাচের স্কোর করে ২-২। বিরতির পর মাঠে নেমে ৫ মিনিটের মধ্যে সারি ফিতরির গোলে প্রথমবারের মতো ম্যাচে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। বাকি সময়টা গোলটি ধরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কমলা জার্সিধারীরা।

পাকিস্তান মরিয়া হয়েও টলাতে পারেনি মালয়েশিয়ার রক্ষণবাগ। মাঝমাঠ পর্যন্ত তাদের খেলাটা ঠিকঠাক থাকলেও তালগোল পাকিয়ে ফেলে প্রতিপক্ষের শ্যুটিং সার্কেলে। তাদের শেষ চেষ্টা ছিল ড্র করে অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে। মালয়েশিয়া তাদের রক্ষন জমাট রেখে ব্যবধান ধরে রেখেছে শেষ বাঁশি পর্যন্ত।

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন