রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতলেন আঁখি
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হয়েছিল ২০০৯ সালে। এক এক করে ৬টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং একটি বাংলাদেশ গেমস পার করলেও স্বর্ণ অধরাই ছিল শুটার আরদিনা ফেরদৌস আঁখির। অবশেষে ক্যারিয়ারে সুদিন আসলো কুষ্টিয়া রাইফেল ক্লাবের এ নারী শুটারের। নিজের অষ্টম আসরে দেখলেন স্বর্ণের মুখ। তাও একটা নয়, জোড়া। সঙ্গে একটিতে নতুন জাতীয় রেকর্ড।
রোববার প্রথম স্বর্ণ জিতেছেন ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে। মঙ্গলবার গুলশান শুটিং কমপ্লেক্সে চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্বর্ণ জেতেন ২৫ মিটার স্পোর্ট পিস্তলে। ৫৫৬ স্কোর করে তিনি ভেঙ্গেছেন ২০১৩ সালের বাংলাদেশ গেমসে কানিজ চৌধুরী সুইটির গড়া রেকর্ড। সুইটির স্কোর ছিল ৫৪৪। আঁখি মঙ্গলবার অনেক বড় ব্যবধানেই হারিয়েছেন ঢাকা রাইফেল ক্লাবের মিতি দেওয়ানকে। তার স্কোর ৫৩১। আর্মি শুটিং অ্যাসোসিয়েশনের সিনথিয়া নাজনীন টুম্পা ব্রোঞ্জ জিতেছেন ৫৩০ স্কোর করে।
আগের সাত আসরে আঁখির সর্বকাকুল্যে ছিল দুটি রৌপ্য পদক। ‘আমি এতদিন স্বর্ণের মুখ দেখিনি। এবার অবশ্যই আমার জন্য ভালো একটি আসর গেলো। আমি খুবই খুশি। এ অর্জন আমার আত্মবিশ্বাসকে অনেক বাড়িয়ে দিলো। সামনে অনেক আন্তর্জাতিক গেমস আছে। সুযোগ পেলে সেখানে ভালো করতে চাই। বিদেশি কোচের কাছে অনুশীন করেই আমার স্কোরের এ উন্নতি। আমি যে স্কোর করেছি অনুশীলনেও কেউ করতে পারেনি’-রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জয়ের পর কুষ্টিয়ার মেয়ে আখি।
মঙ্গলবার এ ইভেন্টের জুনিয়র বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন বিকেএসপি শ্যুটিং ক্লাবের তুরিং দেওয়ান (৫৩৪), রৌপ্য আর্মি শ্যুটিং ক্লাবের মারজাহার আক্তার (৫০৭) এবং ব্রোঞ্জ বিকেএসপি শ্যুটিং ক্লাবের নিলুফা ইয়াসমিনের (৫০৪)।
৫০ মিটার রাইফেল মহিলা বিভাগে নারায়নগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের শারমিন শিল্পা স্বর্ণ (৫৭১), আর্মি শ্যুটিং অ্যাসোসিয়েশনের আতকিয়া হাসান দিশা রৌপ্য (৭৫০) এবং ঢাকা রাইফেল ক্লাবের উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা ব্রোঞ্জ (৫৬৪) জিতেছেন।
এ ইভেন্টের জুনিয়র বিভাগে আর্মি শ্যুটিং অ্যাসোসিয়েশনের মায়েদা মমতাহিনা স্বর্ণ (৫৭১), আর্মি শ্যুটিং অ্যাসোসিয়েশনের নুপুর আক্তার রৌপ্য (৫৬১) এবং বিকেএসপি শ্যুটিং ক্লাবের নাফিয়া তাবাসুম ব্রোঞ্জ (৫৫৮) জিতেছেন।
স্কিটে আর্মি শ্যুটিং অ্যাসোসিয়েশনের এসএম সাব্বির স্বর্ণ, কুমিল্লা রাইফেল ক্লাবের ইকবাল ইসলাম রৌপ্য এবং ঢাকা রাইফেল ক্লাবের আলতামাস কবির ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
আরআই/এমএমআর/এমএস